স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, বিএনপি রাজধানী ঢাকায় লাখ লাখ মানুষ নিয়ে সমাবেশ করবে। তারা সেখানেই সরকার গঠন করবে বলে শোনা যায়। তবে রাস্তাঘাট বন্ধ করে সমাবেশ করলে, জনগণের জানমালের ক্ষতি করলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী প্রতিহত করবে। তারা হাত গুটিয়ে বসে থাকবে না।’
বুধবার মাদারীপুর শহরের স্বাধীনতা অঙ্গনে আসমত আলী খান ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে পাঁচ দিনব্যাপী ঠোঁটকাটা ও তালুকাটা রোগীদের ফ্রি চিকিৎসা ও অপারেশনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘পেশিশক্তি আর বন্দুকের নলের সাহায্যে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসেনি। দেশের জনগণ শেখ হাসিনার সরকারকে ভালোবেসে ভোট দিয়ে বারবার নির্বাচিত করছে।
‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করেন। এ জন্যই দেশের সর্বত্র একটি কথা শোনা যায়, শেখ হাসিনার বিকল্প কিছু নেই। শেখ হাসিনার বিকল্প শেখ হাসিনাই। সারা বাংলাদেশ নির্বাচনের জন্য তৈরি হচ্ছে। দেশের জনগণ নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আবারও শেখ হাসিনাকে বিজয়ী করবে।’
আসাদুজ্জামান খাঁন বলেন, স্বাধীনতাবিরোধীরা বঙ্গবন্ধুকে বাঁচতে দেয়নি। তাদের ধারণা ছিল বঙ্গবন্ধুর রক্ত যার শরীরে থাকবে, সেই ঘুরে দাঁড়াবে। ইতিহাসে এমন হত্যাকাণ্ড আর একটাও ঘটেনি, যেখানে শেখ রাসেলের মতো নিষ্পাপ শিশুকেও বাঁচতে দেয়া হয়নি।’
বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে অনেক আগেই বাংলাদেশ উন্নত দেশে পরিণত হতো বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
অপশক্তি বারবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উৎখাতের চেষ্টা চালাচ্ছে দাবি করে আসাদুজ্জামান খাঁন বলেন, ‘পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে তার পরিবারকে মুছে ফেলার চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু পারেনি। তার দুই কন্যা বেঁচে আছেন। তারা এখন দেশ চালাচ্ছেন। আগামীতেও বঙ্গবন্ধুর উত্তরসূরিরা এদেশ চালাবেন। কোনো অপশক্তি, খুনিরা দেশ চালাতে পারবে না। তাদের নির্মূল করে দেয়া হবে। সাধারণ জনগণকে ওই অপশক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। সেটা আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে প্রমাণ করতে হবে।’
অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন মাদারীপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুস সোবহান গোলাপ, টাঙ্গাইল-২ আসনের সংসদ সদস্য তানভীর হাসান ছোট মনির, জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন, পুলিশ সুপার মো. মাসুদ আলম, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ওসমান আলী, কালকিনির চেয়ারম্যান মীর গোলাম ফারুক, রাজৈরের চেয়ারম্যান রেজাউল করিম শাহীন চৌধুরী, মাদারীপুর পৌরসভার মেয়র খালিদ হোসেন ইয়াদ ও মাদারীপুর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি হাফিজুর রহমান খান।
সভায় সভাপতিত্ব করেন আছমত আলী খান ফাউন্ডেশনের সভাপতি সৈয়দা রোকেয়া বেগম। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সাকিলুর রহমান সোহাগ তালুকদার।
রাইসু ফাউন্ডেশন ও আছমত আলী খান ফাউন্ডেশনের যৌথ উদ্যোগে দীর্ঘ ১৩ বছর ধরে ঠোঁটকাটা ও তালু কাটা রোগীদের ফ্রি অপারেশন করা হয়।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এরপর মাদারীপুরে আরও চারটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন।