বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

স্ত্রী হত্যার দায়ে গ্রেপ্তারের পর পুলিশ হেফাজতে মৃত্যু

  •    
  • ৯ নভেম্বর, ২০২২ ১৮:০৩

নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আল-আমিন বলেন, ‘পুলিশ হেফাজতে সুজনের মৃত্যুর ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেছে নরসিংদী জেলা পুলিশ।’

নরসিংদীর রায়পুরায় স্ত্রী হত্যার দায়ে গ্রেপ্তারের পর সুজন মিয়া নামে এক আসামি পুলিশ হেফাজতে মারা গেছেন। পুলিশ এ ঘটনাকে আত্মহত্যা বলে দাবি করেছে।

নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আল-আমিন জানান, বুধবার সকাল ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে রায়পুরা থানা হাজতের শৌচাগারে জানালার রডের সঙ্গে সুজনকে শার্ট দিয়ে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।

পরে তাকে দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

এর আগে গত মঙ্গলবার আদালত থেকে দুই দিনের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশের হেফাজতে আনা হয়েছিল ৩৫ বছর বয়সী সুজনকে। তিনি রায়পুরা উপজেলার মাহমুদপুর এলাকার মুজিবর রহমানের ছেলে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা খান নূরউদ্দিন মো. জাহাঙ্গীর জানান, হাসপাতালে নিয়ে আসার পরপরই সুজনকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। গলায় একটি দাগ ছাড়া তার শরীরের কোথাও কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ৫ নভেম্বর মধ্যরাতে স্ত্রী লাভলী বেগমের সঙ্গে ঝগড়ার একপর্যায়ে সুজন ছুরি দিয়ে তার পেটে আঘাত করেন। এতে লাভলীর মৃত্যু হলে তিনি পালিয়ে যান।

এ ঘটনায় নিহত গৃহবধূর মা মালেকা বেগম রায়পুরা থানায় মামলা করেন। পরে গত সোমবার বিকেলে ফরিদপুরের সদরপুরে আটরশি দরবার শরিফের পাশ থেকে সুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

পরদিনই তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দুই দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠায় নরসিংদীর আদালত।

এদিকে বুধবার বিকেলে এ প্রতিবেদন লেখার আগপর্যন্ত নিহতের মরদেহ নরসিংদী সদর হাসপাতালে মর্গে রয়েছে। স্ত্রী হত্যার মামলায় তার স্বজনেরাও আত্মগোপনে থাকায় তাদের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আল-আমিন বলেন, ‘পুলিশ হেফাজতে সুজনের মৃত্যুর ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেছে নরসিংদী জেলা পুলিশ।’

এ বিভাগের আরো খবর