সড়ক দুর্ঘটনায় বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ইসমাইল ইমন নিহত হওয়ার ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে পড়েছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়।
মঙ্গলবার পাঁচ ঘণ্টা ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়ক অবরোধের পর বুধবার দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় সড়কে যান চলাচল বিঘ্নিত হয়।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থী সুজয় শুভ বলেন, ‘সাকুরা পরিবহনের বেপরোয়া গতি সম্পর্কে সবাই অবগত। এই গতির কারণেই ওদের একটি বাস দুর্ঘটনায় পড়ে। যার কারণে গাড়িতে থাকা ইসমাইল আহত হয় এবং চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করে। আমরা মনে করছি এটা হত্যাকাণ্ড। ৫ দফা দাবি জানিয়েছি। দাবি না আদায় হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন করব। তবে আপাতত সড়ক অবরোধ থেকে সরে এসেছি।’
ঝুমুর নিশাত নামে আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের আশ্বাসে আমরা সড়ক অবরোধ থেকে সরে এসেছি। তবে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা মাঠে আছি। আজ গায়েবানা জানাজা, মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছি। সাকুরা পরিবহনের মালিক এলে তার সঙ্গে আমরা ক্ষতিপূরণসহ অন্যান্য দাবি নিয়ে আলোচনায় বসব।’
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর খোরশেদ আলম বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আমরা সাকুরা পরিবহনের সাথে যোগাযোগ করেছি। আমরাও ওদের আন্দোলনের সাথে একমত।’
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর ছাদেকুল আরেফিন বলেন, ‘আমাদের এক ছাত্র নিহতের ঘটনায় শিক্ষার্থীদের সাথে আমরাও মর্মাহত। শিক্ষার্থীরা ১ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণসহ ৫ দফা দাবি জানিয়েছে। সাকুরা পরিবহনের মালিক কাল সকাল ১০টায় আমাদের সাথে বসবেন।’
বরিশাল মহানগরীর বন্দর থানার ওসি মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ‘সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’
৬ নভেম্বর ফরিদপুরের ভাঙ্গায় সাকুরা পরিবহনের একটি বাস গাছের সঙ্গে ধাক্কা লাগলে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের ছাত্র ইসমাইল ইমনসহ ৪ যাত্রী নিহত হন।