কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত এলাকায় যাতে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ না হয়, সে বিষয়ে সার্বক্ষণিক তদারকির নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
আদালত অবমনানা সংক্রান্ত মামলা নিষ্পত্তি করে বুধবার বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ নির্দেশনা দেয়।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।
পরে তিনি জানান, কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের সৌন্দর্য ও বৈশিষ্ট্য রক্ষায় উচ্চ আদালতের রায়ের নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে সবসময় জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে সতর্ক থাকতে বলেছে আদালত। পরে আদালত অবমানার মামলার দায় থেকে কক্সবাজারের ডিসি মামুনুর রশীদকে অব্যাহতি দেয়া হয়।
এর আগে গত ১৯ অক্টোবর কক্সবাজারের ডিসিকে ডেকে উচ্চ আদালতের রায়ের নির্দেশনা প্রতিপালন করতে হুঁশিয়ার করে দেয় হাইকোর্ট। অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে ৯ নভেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়।
আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী আজ প্রতিবেদন জমা দিয়ে ডিসি জানান, সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে ৪১৭টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে।
তার বক্তব্যের পর আদালত অবমাননার রুলটি নিষ্পত্তি করে দেয়।
আদালত অবমাননার বিষয়ে আবেদনের শুনানি নিয়ে গত ২৫ আগস্ট হাইকোর্টের ওই বেঞ্চ কক্সবাজারের ডিসিকে তলব করেছিল। ডিসি ছাড়া আরও চারজনের বিরুদ্ধে রুল জারি করেছিল হাইকোর্ট।
তারা হলেন কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফোরকান আহমেদ, টাউন প্ল্যানার তানভির হাসান, কক্সবাজারের পুলিশ সুপার হাসানুজ্জামান ও পৌরসভার মেয়র মজিবর রহমান।
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত এলাকার অবৈধ দখল ও স্থাপনা উচ্ছেদের নির্দেশ দিয়ে ২০১১ সালের ৭ জুন রায় দেয় হাইকোর্ট। ওই রায়ের আলোকে কয়েক দফা নির্দেশনা দিলেও তা সম্পূর্ণ বাস্তবায়ন করা হয়নি। এ কারণে ফের আদালত অবমনানার অভিযোগে চলতি বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি কক্সবাজারের ডিসিসহ সংশ্লিষ্টদের আইনি নোটিশ দেয়া হয়েছিল।
নোটিশের সন্তোষজনক জবাব না পাওয়ায় আদালত অবমাননার আবেদন করে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ।