দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের কক্সবাজার, টেকনাফ, কুতুবদিয়ার লোকজনের মালামাল পরিবহন ও যাতায়াত খরচ কমাতে ১ হাজার ৯১৩ কোটি ৭০ লাখ টাকা ব্যায়ে একটি প্রকল্প অনুমোদন করেছে সরকার।
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠক-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে মঙ্গলবার এ তথ্য জানান পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
এই প্রকল্পের আওতায় চট্টগ্রামের মিরসরাই ও সন্দ্বীপ অংশে এবং কক্সবাজার জেলার সোনাদিয়া ও টেকনাফ (সাবরাং ও জালিয়ার দ্বীপ) অংশে জেটিসহ আনুষঙ্গিক সুবিধাদি নির্মাণ করা হবে।
প্রকল্পটির নাম ‘চট্টগ্রামের মিরসরাই ও সন্দ্বীপ, কক্সবাজারের সোনাদিয়া দ্বীপ ও টেকনাফ (সাবরাং ও জালিয়ার দ্বীপ) অংশের জেটিসহ আনুষঙ্গিক স্থাপনাদি নির্মাণ’।
প্রকল্পটিতে মোট খরচ হবে ১ হাজার ৯১৩ কোটি ৭০ লাখ ৩০ হাজার টাকা। প্রকল্পটি শেষ হওয়ার কথা রয়েছে ২০২৪ সালের জুন মাসে।
মঙ্গলবার একনেক সভায় এই প্রকল্পসহ মোট চারটি নতুন প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে সরকারের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অধীনস্থ এই নির্বাহী কমিটি।
নতুন চার প্রকল্প ছাড়া আরও তিন পুরনো প্রকল্পের ব্যয় বৃদ্ধি অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন প্রকল্পের যাচাই, বিনিয়োগ, অনুমোদন ও অগ্রগতি দেখভাল করার জন্য সৃষ্ট এই কমিটি।
প্রধানমন্ত্রী এবং একনেক-এর চেয়ারপারসন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে শেরে বাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত একনেক-এর সভায় এ অনুমোদন দেয়া হয়।
অনুমোদিত প্রকল্পসমূহ হল: চট্টগ্রামের মিরসরাই ও সন্দ্বীপ, কক্সবাজারের সোনাদিয়া দ্বীপ ও টেকনাফ (সাবরাং ও জালিয়ার দ্বীপ) অংশের জেটিসহ আনুষঙ্গিক স্থাপনাদি নির্মাণ; ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন এলাকায় অঞ্চল-২ ও অঞ্চল-৪ এর ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক অবকাঠামোসহ অঞ্চল-২ ও অঞ্চল-৪ এর সার্ভিস প্যাসেজসমূহের উন্নয়ন; বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ ভবন এলাকার বৈদ্যুতিক-যান্ত্রিক ও নিরাপত্তা ব্যবস্থাসহ অন্যান্য উন্নয়ন কাজ; বারৈয়ারহাট-হেঁয়াকো-রামগড় সড়ক প্রশস্তকরণ (১ম সংশোধিত), নবীনগর-আশুগঞ্জ সড়ক উন্নয়ন (জেড-২০৩১) (১ম সংশোধিত), দিনাজপুর অঞ্চলে টেকসই কৃষি উন্নয়ন প্রকল্প এবং চট্টগ্রাম অঞ্চলের বিদ্যুৎ সঞ্চালন ব্যবস্থার সম্প্রসারণ ও শক্তিশালীকরণ (১ম সংশোধিত)।
এছাড়াও ব্যয় ঠিক রেখে মেয়াদ বৃদ্ধির জন্য অনুমোদিত প্রকল্পগুলো হলো: খুলনা শিপইয়ার্ড সড়ক প্রশস্তকরণ ও উন্নয়ন (১ম সংশোধিত); বরিশাল মেট্রোপলিটন ও খুলনা জেলা পুলিশ লাইন নির্মাণ (আন্তঃখাত সমন্বয়কৃত); শেখ সায়েরা খাতুন মেডিক্যাল কলেজ, মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল এবং নার্সিং কলেজ স্থাপন (২য় সংশোধিত)।