আইএমএফ-এর কাছ থেকে শর্তযুক্ত ঋণ নেয়ার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বাম গণতান্ত্রিক জোট। সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেছেন, ঋণ নেয়ার মতো পরিস্থিতি কেন তৈরি হল তার কৈফিয়ত সরকারকে দিতে হবে।
রাজধানীর পুরানা পল্টন মোড়ে মঙ্গলবার বিকেলে অনুষ্ঠিত বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতারা এ কথা বলেন।
নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘সরকার যে নীতিতে দেশ পরিচালনা করছে তার অনিবার্য পরিণতিতে সংকট বাড়ছে। বিকল্প জ্বালানি নীতি ও খাদ্যে প্রণোদনা বাড়লে, দুর্নীতি-লুটপাট এবং মেগা প্রকল্পের নামে অহেতুক খরচ না করলে দেশের সংকট অনিবার্য হতো না।’
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্সের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও সিপিবি কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অধ্যাপক এম. এম. আকাশ, বাংলাদেশ বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য অধ্যাপক আব্দুস সাত্তার, বাসদের সহ-সাধারণ সম্পাদক রাজেকুজ্জামান রতন, বাসদের (মার্কসবাদী) কেন্দ্রীয় নেতা ডা. জয়দ্বীপ ভট্টাচার্য, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের সভাপতি হামিদুল হক, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা আমেনা খাতুন।
সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘আইএমএফের শর্ত মেনে খাদ্য, জ্বালানি, শিক্ষা, স্বাস্থ্যে ভর্তুকি প্রত্যাহার জনজীবনে সংকট আরও বাড়াবে।’
নেতারা আইএমএফের শর্তযুক্ত ঋণ প্রত্যাখ্যান করে পাচারের টাকা ও খেলইপ ঋণ উদ্ধার, দুর্নীতি-লুটপাট বন্ধ এবং অনুৎপাদনশীল খাতে ব্যয় কমানোর দাবি জানান।
তারা বলেন, ‘আইএমএফের জালে আবদ্ধ হয়ে কোনো দেশের মুক্তি মেলেনি বরং ঋণের জালে আবদ্ধ হওয়া বেড়েছে। বাংলাদেশকে এই ফাঁদে ফেলে সাম্রাজ্যবাদ ও আধিপত্যবাদীরা রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিল করতে চাইছে।’