বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ফরিদপুর সমাবেশের ৪ দিন আগেই বিএনপির সাজসাজ রব

  •    
  • ৮ নভেম্বর, ২০২২ ২৩:১৪

মঙ্গলবার সকাল থেকেই সমাবেশের জন্য নির্ধারিত স্থানটিতে বিএনপি নেতাকর্মীদের আনাগোনা করতে দেখা গেছে। ফুরফুরে মেজাজে তাদের অনেকেই মঞ্চ তৈরির কাজে তদারকি করছিলেন।

ফরিদপুরে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ অনুষ্ঠানের মঞ্চ নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে।

সোমবার অনুমতি পর মঙ্গলবার সকাল থেকেই কোমরপুর আবদুল আজিজ ইনস্টিটিউশন মাঠে মঞ্চ নির্মাণের কাজ শুরু হয়।

বিএনপির টানা বিভাগীয় গণসমাবেশ হিসেবে ফরিদপুরের সমাবেশটি হবে ষষ্ঠ। এর আগে চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, খুলনা, রংপুর ও বরিশালে এই গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

ওই সমাবেশগুলোর জন্য দুয়েক দিন আগে প্রশাসনের কাছ থেকে মাঠ বরাদ্দ পেলেও ফরিদপুরের সমাবেশের জন্য নির্ধারিত স্থানটি তুলনামূলক আগেভাগেই পেয়ে বিএনপি।

মঙ্গলবার সকাল থেকেই সমাবেশের জন্য নির্ধারিত স্থানটিতে বিএনপি নেতাকর্মীদের আনাগোনা করতে দেখা গেছে। ফুরফুরে মেজাজে তাদের অনেকেই মঞ্চ তৈরির কাজে তদারকি করছিলেন।

আগামী ১২ নভেম্বর শহর থেকে ৬ কিলোমিটার দূরে আবদুল আজিজ ইনস্টিটিউশন মাঠে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। অনুমতি পাওয়ার একদিনের মধ্যেই অসংখ্য ডিজিটাল ব্যানার ও ফেস্টুনে ভরে গেছে মাঠের চারপাশ।

মাঠের একপাশে জড়ো করা হয়েছে বাঁশ ও কাঠের খুঁটি। স্থানীয় একটি ডেকোরেটর প্রতিষ্ঠানের ১০ জন শ্রমিককেও সেখানে কাজ করতে দেখা গেছে।

নির্মাণকাজে নিয়োজিত শ্রমিক রেজাউল খান বলেন, ‘সকাল থেকে আমরা কাজ শুরু করেছি। মঞ্চ দাঁড় করানোর জন্য এখন খুঁটির কাজ চলছে।’

নির্মাণকাজের তদারকি করছিলেন মঞ্চ নির্মাণ উপকমিটির আহ্বায়ক ও জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক রশিদুল ইসলাম ওরফে লিটন।

তিনি বলেন, ‘সোমবার প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাঠ বরাদ্দ পাওয়ার পর আমরা আজ সকালে কাজ শুরু করেছি। বিএনপির নেতা-কর্মীরা কমবেশি সবাই এসে তদারকি করছেন। আমরা প্রশাসনের সহযোগিতাও পাচ্ছি। গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরাও নিয়মিত থাকছেন।’

বেলা সাড়ে ৩টার দিকে সমাবেশস্থল পরিদর্শনে আসেন ফরিদপুরের সমাবেশের সমন্বয়কারী ও দলের বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ। এ সময় তার সঙ্গে কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-সভাপতি এ জেড এম জাহিদ হোসেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা জহিরুল হক, কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক খন্দকার মাশুকুর রহমান ও সেলিমুজ্জামান, কেন্দ্রীয় কৃষকদলের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম এবং কেন্দ্রীয় মহিলা দলের যুগ্ম সম্পাদক নায়াব ইউসুফ উপস্থিত ছিলেন।

মঙ্গলবার সমাবেশস্থল পরিদর্শন করেছেন বিএনপির নেতারা

রশিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা জানতে পেরেছি, ১১ ও ১২ নভেম্বর ফরিদপুর শহরের সব আবাসিক হোটেল ও রেস্তোরাঁ বন্ধ করে দেয়া হবে। তবে এসব বিষয় নিয়ে আমরা মোটেও ভাবছি না। এই মাঠের আশপাশে অনেক ছোট ছোট মাঠ আছে। এ ছাড়া নেতা-কর্মীদের বাড়িতে তাঁবু টাঙিয়ে সমাবেশে আসা মানুষদের থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’

এর আগে সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. শাহজাহানসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সমাবেশস্থল পরিদর্শন করেন।

ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন রঞ্জন সরকার বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি রক্ষা, নিরাপত্তা ও ট্রাফিক দায়িত্ব নির্বিঘ্ন রাখতে পুলিশ কাজ করছে। সমাবেশের দিন সমাবেশস্থলের চারপাশে পুলিশ মোতায়েন করা হবে। বর্তমানেও সমাবেশস্থলে পুলিশি টহলদল রয়েছে।’

এ বিভাগের আরো খবর