বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, ‘১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ সালের মতো বাংলাদেশের অর্থনীতিকে ধ্বংসের কিনারায় নিয়ে গেছে বর্তমান সরকার।’
মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ উপলক্ষে ‘বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব’ শীর্ষক এই আলোচনা সভার আয়োজন করে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব)।
মোশাররফ বলেন, ‘আজকে বাংলাদেশের পরিস্থিতি কী? ১৯৭২ সালে যারা ক্ষমতায় ছিল, মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা করে বাকশাল কায়েম করেছিল, তারাই গত ১৪ বছর ধরে গায়ের জোরে ক্ষমতায় থেকে গণতন্ত্র হত্যা করেছে। লুটপাটের অর্থনীতি কায়েম করে দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংসের কিনারায় নিয়ে গেছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা যে সব বিষয় নিয়ে এতদিন বলে আসছি, আজকে আইএমএফ কিন্তু সেগুলো নিয়ে ঠিকই প্রশ্ন করছে। কেন তেলের দাম বেড়েছে? কেন প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হলেও কাজ শেষ হয় না?’
তিনি বলেন, ‘আজকে দেশের মানুষ পরিবর্তন চায়। কারণ এই সরকার সব ক্ষেত্রে ব্যর্থ। দেশে মানবাধিকার লংঘনের কারণে আমেরিকা র্যাবের কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। দেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম আকাশছোঁয়া। এখান থেকে দেশের মানুষ মুক্তি চায়। আজকে তারা দেশের অর্থনীতি পুনর্গঠনের চিন্তা না করে বিএনপির বিরুদ্ধে লেগে আছে। আমাদের সমাবেশে বাধা দিচ্ছে।’
বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, ‘এই সরকার এমনিতে যাবে না। আইয়ুব খান যায়নি। এরশাদ যায়নি। গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে তাদের বিদায় হয়েছে। তেমনি আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে গণঅভ্যুত্থান গড়ে তুলতে হবে। পরিবর্তন করতে হলে তাদেরকে সরানোর বিকল্প নেই। তাদের অন্যায় অপকর্মের বিচার দেশের মাটিতে হবে। সরকারকে অবিলম্বে পদত্যাগ ও সংসদ বিলুপ্ত করতে হবে। দেশের মানুষ ভোট দিবে ব্যালটে, কোনো মেশিনে নয়।’
ড্যাবের সভাপতি অধ্যাপক ডা. হারুন আল রশিদের সভাপতিত্বে সংগঠনের মহাসচিব ডা. মো. আবদুস সালাম, ডা. মেহেদী হাসানসহ নেতারা এ সময় বক্তব্য রাখেন।