বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

শিশু ধর্ষণ মামলায় ৬ জনের মৃত্যুদণ্ড

  •    
  • ৮ নভেম্বর, ২০২২ ১৫:১৬

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, মোরশেদুল ইসলাম শান্ত ওরফে শান্ত বিশ্বাস, শেখ শাহাদাত হোসেন, রাব্বি হাসান পরশ, মো. মাহামুদ হাসান আকাশ, কজী আরিফুল ইসলাম প্রীতম ও মিম হোসেন।

খুলনার সোনাডাঙ্গা থানাধীন বিহারি ক‌লোনির এক কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের মামল‌ায় ছয়জনকে মৃত্যুদণ্ড দি‌য়ে‌ছে আদালত। একই স‌ঙ্গে তা‌দের ২০ হাজার টাকা করে জ‌রিমানা করা হ‌য়ে‌ছে। এ ছাড়া আরও চারজনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দয়া হয়েছে।

খুলনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমনন ট্রাইব‌্যুনাল-৩-এর বিচারক ছালাম খান মঙ্গলবার দুপুরে এই রায় ঘোষণা ক‌রেন।

ওই আদালতের রাষ্ট্রপ‌ক্ষের স্পেশাল আইনজীবী ফ‌রিদ আহ‌মেদ রা‌য়ের বিষয়‌টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত ক‌রে‌ছেন।

খুলনার সোনাডাঙ্গা থানাধীন বিহারী ক‌লোনীর এক কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের মামল‌ায় ছয়জনকে মৃত্যুদণ্ড দি‌য়ে‌ছে আদালত। একই স‌ঙ্গে তা‌দের ২০ হাজার টাকা করে জ‌রিমানা করা হ‌য়ে‌ছে। এ ছাড়া আরও চারজনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দয়া হয়েছে।

খুলনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমনন ট্রাইব‌্যুনাল-৩ এর বিচারক ছালাম খান মঙ্গলবার দুপুরে এ রায় ঘোষণা ক‌রেন।

ওই আদালতের রাষ্ট্রপ‌ক্ষের স্পেশাল আইনজীবী ফ‌রিদ আহ‌মেদ রা‌য়ের বিষয়‌টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত ক‌রে‌ছেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, মোরশেদুল ইসলাম শান্ত ওরফে শান্ত বিশ্বাস, শেখ শাহাদাত হোসেন, রাব্বি হাসান পরশ, মো. মাহামুদ হাসান আকাশ, কজী আরিফুল ইসলাম প্রীতম ও মিম হোসেন।

শান্ত বিশ্বাস, শেখ শাহাদাত হোসেন ও আরিফুল ইসলাম প্রীতম পলাতক রয়েছেন। বাকি তিনজন রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

ঘটনার সময়ে ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করায় পর্ণগ্রাফি আইনে আসামি নুরুন্নবী আহমেদকে মৃত্যুদণ্ডের সঙ্গে আরও ৩ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।

এ মামলায় বিভিন্ন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত বাকি চারজন প্রাপ্তবয়স্ক নয়, তাদেরকে ৮ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওই আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের স্পেশাল আইনজীবী ফরিদ আহমেদ।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার দুইদিন আগে মোরশেদুল ইসলাম শান্তর সঙ্গে ওই কিশোরীর পরিচয় হয়। সেই সূত্র ধরে ২০১৯ সালের ২৯ জুন বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে মোবাইল ফোনে কিশোরীকে ডেকে নেয় শান্ত। খুলনা মহানগরীর সাহেবের কবর খানায় এলাকায় তারা দেখা করে।

সেখান থেকে কিশোরীকে নেয়া হয় মামলার অপর আসামি নুরুন্নবীর সোনাডাঙ্গা থানাধীন বিহারী কলোনীর ভাড়া বাড়িতে। সেখানে কিশোরীকে কাঁচি দিয়ে ভয় দেখানো হয়। পরে তাকে ধর্ষণ করে শান্ত। ওই ভিডিও ধারণ করে নুরুন্নবী।

ভয় দেখিয়ে অন্যান্যরাও সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে ওই কিশোরীকে। পরে তাকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে সন্ধ্যার দিকে ছেড়ে দেয়া হয়।

ওই রাতেই তার পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় গিয়ে অভিযোগ করা হয়। পরের দিন ৩০ জুন তার বড় বোন নয়জনকে আসামি করে সোনাডাঙ্গা থানায় মামলাটি করেন। একই বছরের ১৩ নভেম্বর ১০ জন আসামির নাম উল্লেখ করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সোনাডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মমতাজুল হক আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

আইনজীবী ফরিদ আহমেদ বলেন, ‘এই মামলায় মোট ১৩ স্বাক্ষ্য প্রদান করেছেন। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ ১৯টি আলামত উদ্ধার করেছিল। তার মধ্যে মাদক ও যৌনকাজে ব্যবহৃত সামগ্রীও পাওয়া যায়। এ ছাড়া ১০ জনের মধ্যে ৫ জন আসামি ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দিয়েছে।

‘এ ছাড়াও ডিএনএ টেষ্টে ধর্ষণের বিষয়টি প্রমাণিত হয়েছে। আদালতে সন্দেহতীতভাবে ধর্ষণের বিষয়টি প্রমাণিত হওয়া রায় দিয়েছে। আশা করি উচ্চ আদালতেও রায় বহাল থাকবে।’

এ বিভাগের আরো খবর