ডেসটিনি ২০০০ লিমিটেডের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেনকে বিচারিক আদালতের দেয়া দেড় কোটি টাকার অর্থদণ্ডের রায় স্থগিত করেছে হাইকোর্ট।
অর্থ আত্মসাৎ ও পাচারের এক মামলায় ১০ বছরের কারাদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিল শুনানির জন্য নিয়ে মঙ্গলবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়।
আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের আইনজীবী খুরশী আলম খান।
আদালতে মোহাম্মদ হোসেনের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন ব্যারিস্টার সারোয়ার হোসেন, রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক, আর দুদকের পক্ষে ছিলেন খুরশীদ আলম খান।
অর্থ আত্মসাৎ ও পাচারের এক মামলায় ১০ বছরের কারাদণ্ড থেকে খালাস চেয়ে সোমবার হাইকোর্টে আপিল করেন ডেসটিনির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেন।
আদালত মঙ্গলবার সেই আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করে অর্থদণ্ড স্থগিত করে আদেশ দেয়।
অর্থ আত্মসাৎ ও পাচারের মামলায় ডেসটিনি ২০০০ লিমিটেডের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেনকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়ে গত ১২ মে রায় দেয় বিচারিক আদালত।
মোহাম্মদ হোসেন ছাড়াও ডেসটিনি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রফিকুল আমীন, কোম্পানির প্রেসিডেন্ট সাবেক সেনাপ্রধান এম হারুন-অর-রশীদসহ ৪৬ আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ডের পাশাপাশি অর্থদণ্ড দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪-এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম।
রফিকুলকে ১২ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। অর্থদণ্ড ২০০ কোটি টাকা। ডেসটিনির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেনকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। অর্থদণ্ড ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা। ডেসটিনির প্রেসিডেন্ট ও সাবেক সেনাপ্রধান এম হারুন-অর-রশীদকে চার বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়, সে সঙ্গে অর্থদণ্ড ৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা।
বাকি আসামিদের ৫ থেকে ৯ বছরের কারাদণ্ডের পাশাপাশি অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছে।
ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটি ও ডেসটিনি ট্রি প্ল্যান্টেশন লিমিটেডের নামে বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে তা আত্মসাৎ-পাচার অভিযোগে ২০১২ সালের ৩১ জুলাই রফিকুলসহ ডেসটিনির কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা হয়।
তার মধ্যে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) একটি মামলা করে রাজধানীর কলাবাগান থানায়। দুই মামলায় ৪ হাজার ১১৯ কোটি ২৪ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগ আনা হয়। দুই বছর তদন্তের পর ২০১৪ সালের ৪ মে উভয় মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র দেয় দুদক।
মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ সোসাইটির মামলায় ৪৬ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়া হয়। আর ট্রি প্ল্যান্টেশনের মামলায় ১৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়া হয়।
দীর্ঘ শুনানি ও বিচারিক কার্যক্রম শেষে রায় ঘোষণা করে বিচারিক আদালত।