দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার সাবেক নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা ওমর আলী শেখকে হত্যাচেষ্টা মামলায় আসামি রবিউল ইসলামকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে দিনাজপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-৩ আদালতের বিচারক সাদিয়া সুলতানা এই রায় ঘোষণা করেন। বিচারক রবিউলকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত রবিউল বিরল উপজেলার বিজোড়া ইউনিয়নের বিজোড়া গ্রামের খতিব উদ্দীনের ছেলে ও ঘোড়াঘাটের ইউএনও বাসভবনের সাবেক কমচারী।
মামলাটি রাষ্ট্রপক্ষে দিনাজপুরের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) রবিউল ইসলাম ও আসামিপক্ষে আব্দুস সামাদ পরিচালনা করেন।
পিপি রবিউল ইসলাম জানান, বিচারক দুটি ধারায় রায় দিয়েছেন। এর মধ্যে ৩০৭ ধারায় ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড, ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং ৩২৫ ধারায় ৩ বছরের কারাদণ্ড, ৩ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৩ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দেয়া হয়েছে।
যেহেতু দুটি ধারার সাজা একসঙ্গে চলবে, তাই রবিউলকে ১০ বছর সাজা ভোগ করতে হবে বলে জানান তিনি।
২০২০ সালের ২ সেপ্টেম্বর রাত ২টার দিকে সরকারি ডাকবাংলাতে ঘোড়াঘাট ইউএনওর ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা ওমর আলী শেখের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। পরদিন সকালে তাদের উদ্ধার করে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে দুপুর ১টার দিকে হেলিকপ্টারে জাতীয় নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয় তাদের।
৩ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় ইউএনও ওয়াহিদা খানমের ভাই শেখ ফরিদ ঘোড়াঘাট থানায় একটি মামলা করেন। মামলা দায়েরের পর পুলিশ ও র্যাব সদস্যরা বেশ কয়েকজনকে আটক করেন। ১১ সেপ্টেম্বর রাতে বিরল উপজেলার বিজোড়া ইউনিয়নের বিজোড়া গ্রামের খতিব উদ্দীনের ছেলে ও ঘোড়াঘাটের ইউএনও বাসভবনের সাবেক কর্মচারী রবিউল ইসলামকে আটক করা হয়।
২০ সেপ্টেম্বর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত-৭-এর বিচারক ইসমাইল হোসেনের কাছে নিজের দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন রবিউল ইসলাম। ২১ নভেম্বর দুপুরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমাম জাফর আদালতে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে রবিউলের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেন।