সিলেটে খুন হওয়া বিএনপি নেতা আ ফ ম কামালের শরীরে ২৫টি আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। এসব চিহ্ন ধারালো অস্ত্রের বলে জানিয়েছেন ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক।
সোমবার দুপুরে ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে কামালের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়।
ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. শামসুল ইসলাম জানান, আঘাতগুলো কামালের বাম হাত, বুকের বাম পাশ, বামপাশের কাঁধের নিচ এবং পায়ের উরুতে।
অতিরিক্ত রক্তক্ষরণেই কামাল মারা যান বলে জানান ডা. শামসুল।
এদিকে সোমবার সন্ধ্যায় জালালাবাদ ইউনিয়নের আলীনগরে গ্রামের বাড়িতে কামালের জানাজা ও দাফন সম্পন্ন হয়।
তবে রাত ১১টা পর্যন্ত এ ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি জানিয়ে বিমানবন্দর থানার ওসি মাইনুল জাকির বলেন, ‘আমি এখনও থানায় বসা। কিন্তু এখন পর্যন্ত কেউ থানায় এজাহার নিয়ে আসেননি।’
এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা যায়নি বলেও জানান ওসি।
রোববার রাত ৯টার দিকে সিলেট নগরের বড়বাজারে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে খুন হন সিলেট জেলা বিএনপির সাবেক স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক আ ফ ম কামাল।
হত্যাকাণ্ডের পরপরই বিএনপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকে সরকার দল এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।
রাতেই নগরে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের বিক্ষোভ মিছিল থেকে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি সভা উপলক্ষে নির্মিত তোরণ, বিলবোর্ড ও ফেস্টুন ভাংচুর করা হয়।
তবে পুলিশের পক্ষ থেকে ধারণা করা হচ্ছে, ব্যবসায়িক বিরোধ থেকে কামাল খুন হতে পারেন। পেশায় ট্র্যাভেল এজেন্সির ব্যবসায়ী কামাল কিছুদিন আগে নগরেরই কিছু ব্যক্তির সঙ্গে ব্যবসায়িক দ্বন্দ্বে জড়ান বলে জানিয়েছেন সিলেট মহানগর পুলিশর উপ-কমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ।