বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মেসের আগুনে সব হারাল পোশাক শ্রমিকরা

  •    
  • ৮ নভেম্বর, ২০২২ ০০:০৩

ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘ভালুকা ও শ্রীপুর ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট প্রায় দেড় ঘণ্টার চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে পর্যাপ্ত পানি থাকলে আরও আগেই আগুন নেভানো সম্ভব হতো।’

‘গার্মেন্টসে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে উপার্জন করি। সেই উপার্জনে অনেক কষ্টে টিভি, ফ্রিজ আর ঘরের আসবাবপত্র কিনেছি। সুখের ঘরে আগুন লেগে পুড়ে ছাই হয়েছে সব৷ এর চেয়ে নিজে পুড়ে মরলেই ভালো হতো।’

কান্না বিজড়িত কণ্ঠে কথাগুলো বলছিলেন ময়মনসিংহের ভালুকার জামিরদিয়া এলাকার পোশাক শ্রমিক নূরুন্নাহার বেগম।

ভালুকায় সোমবার বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিটের আগুনে পুড়ে গেছে পোশাক শ্রমিকদের মেসের ৫৩টি ঘর। সেই ঘরগুলোর একটিতেই স্বামী সন্তান নিয়ে জীবন কাটছিল নূরুন্নাহারের।

সোয়েটার কারখানার এই শ্রমিক নিউজবাংলাকে বলেন, ‘৮ বছর আগে আমি গার্মেন্টসে চাকরি নিই। এরপর একজনের প্রেমে পড়ে বিয়ে করি। দুইজনই গার্মেন্টসে চাকরি করি। আমাদের দুই ছেলেমেয়ে। একটু সুখে থাকতে হাড়ভাঙা পরিশ্রমে উপার্জিত টাকা দিয়ে ফ্রিজ, টিভিসহ ঘরের আসবাবপত্র কিনেছিলাম।’

নূরুন্নাহার বলেন, ‘এখানে থাকত বিভিন্ন গার্মেন্টসের শ্রমিকরা। আমরা আইয়ুর আলীর কাছ থেকে ভাড়া নেয়া এক রুমে থাকতাম। সোমবার বেলা ১১টার দিকে সাবেক ইউপি মেম্বার আব্দুর রাশিদ ঢালী ও আইয়ুব আলী পিন্টুর মেসে আগুন লাগে। আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে আমার রুমের সব পুড়ে গেছে।’

আরেক শ্রমিক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘প্রতি মাসে ১০ হাজার টাকা বেতন পাই। মেসভাড়া ৪ হাজারসহ অন্যান্য খরচ আরও ২ হাজার টাকা। বাকি টাকা পরিবারের জন্য পাঠাতে হয়। অগ্নিকাণ্ডের সময় আমি কারখানায় কাজ করছিলাম। এসে দেখি তালা মারা ঘরে সব জিনিস পুড়ে গেছে।’

স্থানীয় বাসিন্দা জহির উদ্দিন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ফায়ারসার্ভিস দ্রুত ঘটনাস্থলে আসলেও পানির অভাবে যথাসময়ে আগুন নেভাতে পারেনি৷ ফলে সব ঘর পুড়ে যায়। এতে চরম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বাসার মালিকসহ পোশাক শ্রমিকরা।’

পানি ফুরিয়ে যাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে গাড়িতে থাকা পানি দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করা হয়েছে। আশপাশে পুকুর না থাকায় আর পানি পাওয়া যায়নি। অন্য বাসা থেকেও পানি আনা সম্ভব হয়নি। ভালুকা ও শ্রীপুর ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট প্রায় দেড় ঘণ্টার চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে পর্যাপ্ত পানি থাকলে আরও আগেই আগুন নেভানো সম্ভব হতো।’

এ বিভাগের আরো খবর