বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সরকারের পতন ছাড়া ঘরে ফিরব না: ফখরুল

  •    
  • ৭ নভেম্বর, ২০২২ ১৮:১৯

‘বিপ্লব ও সংহতি’ দিবসের আলোচনা সভায় বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘৭ নভেম্বর সিপাহি-জনতার অভূতপূর্ব সমন্বয়ে দেশের স্বাধীনতা রক্ষা পেয়েছিল। গত ১৫ বছরে আবারও নতুন করে গণতন্ত্র হরণের মাধ্যমে স্বাধীনতা কেড়ে নেয়া হয়েছে। এখন স্বাধীনতা রক্ষার সংগ্রাম চলছে।’

বিএনপির নেতাকর্মীদের আরও ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানিয়ে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আন্দোলন শুরু হয়ে গেছে। এখন এক দফা এক দাবি- এই সরকারের পদত্যাগ। সরকারের পতন ছাড়া আমরা ঘরে ফিরে যাব না।’

সোমবার বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক উন্মুক্ত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

‘বিপ্লব ও সংহতি’ দিবস উপলক্ষে বিএনপি আয়োজিত এই সভায় মির্জা ফখরুল বলেন, ‘৭ নভেম্বর সিপাহি-জনতার অভূতপূর্ব সমন্বয়ে দেশের স্বাধীনতা রক্ষা পেয়েছিল। গত ১৫ বছরে আবারও নতুন করে গণতন্ত্র হরণের মাধ্যমে স্বাধীনতা কেড়ে নেয়া হয়েছে। এখন স্বাধীনতা রক্ষার সংগ্রাম চলছে।’

নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এখন একটাই দাবি, সরকারের পদত্যাগ। আমাদেরকে আরও ত্যাগ স্বীকার করতে হবে। লক্ষ্য আদায় না করে আমরা ঘরে ফিরে যাব না।’

সরকারকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা দিন, সংসদ বিলুপ্ত করুন।’

বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘বর্তমানে বাংলাদেশে অলিখিত বাকশাল চলছে। এই সরকারের পতনের জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

‘একাত্তর সালে স্বাধীনতা আনতে যখন রাজনৈতিক নেতারা ব্যর্থ হয়েছিলেন তখন মেজর জিয়া সফল হয়েছিলেন। তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে দেশ স্বাধীন করেছিলেন।

‘পঁচাত্তরেও রাজনৈতিক ব্যক্তিদের ব্যর্থতায় জিয়া সফল হয়ে ৭ নভেম্বর স্বাধীনতা রক্ষা করেছিলেন। সেই চেতনায় দেশের গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে।’

নেতাকর্মীদের উদ্দেশ করে মির্জা আব্বাস বলেন, ‘আসুন, আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ে এই লুটেরা সরকারের পতন ঘটাই।’

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘ঢাকায় ১০ তারিখের সমাবেশের আগেই রাজধানীর আশপাশে মামলা-হামলা হচ্ছে। এভাবে জনগণের আন্দোলন স্তব্ধ করা যায় না। কাউকে স্তব্ধ করার এখতিয়ার সরকারি সংস্থার নেই।

‘খুব তাড়াতাড়ি ব্যাংকগুলো নিজেদের দেউলিয়া ঘোষণা করবে। আর আমানতকারীরা রাস্তায় নেমে আসবে।’

তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী কি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বলতে পারবেন লুটপাটকারীদের নাম? পারবেন না। সে কারণে জনগণ মনে করে লুটপাটের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সম্পর্ক রয়েছে।

‘তিনি যাবেন, আমাদের তাড়াতে হবে না। তিনি কোথায় যাবেন সেটা নিয়ে এখন ভাবছেন। সেটা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন।’

আব্দুল মঈন খান বলেন, ‘প্রথমবারের মতো‌ বিপ্লব ও সংহতির প্রয়োজনে রাজপথে এসেছি। আমরা জনগণের সরকার চাই, লুটপাটের শাসন চাই না। আমরা এই সরকারের পতন ঘটাব।’

তিনি বলেন, ‘আমরা পাকিস্তানের ২২ পরিবারের সমালোচনা করছি। এই সরকার সারাদেশে ২২০ পরিবার সৃষ্টি করেছে, যারা কানাডার বেগমপাড়ায় বাড়ি করেছে।

‘আওয়ামী লীগ এক সময় বলত- আমার ভোট আমি দেব, যাকে খুশি তাকে দেব। কিন্তু এখন সেটা বলতে ভয় পায় কেন?’

ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর আশপাশে পঁচাত্তরের খুনিরা।’

সরকারপ্রধানকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘পদত্যাগ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার না দিলে আপনি সম্মান নিয়ে যেতে পারবেন না।’

বিএনপি জোটের শরিক কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম বলেন, যারা বলে থাকেন যে জিয়াউর রহমান পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের সুবিধাবাদী, তারা ভুল বলেন; মিথ্যা বলেন।’

আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান, দক্ষিণের আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, প্রচার সম্পাদক শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, যুবদল সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু প্রমুখ বক্তব্য দেন।

এ বিভাগের আরো খবর