কিশোরগঞ্জ শহরে ৭ নভেম্বর উপলক্ষে বিএনপি মিছিল থেকে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় দুই জনকে আটক করা হয়েছে। ওই সংঘর্ষে ওসিসহ ২৮ জন আহত হয়।
বিএনপি নেতাদের অভিযোগ, পুলিশ মিছিলে বাধা দিয়ে একপর্যায়ে লাঠিচার্জ ও গুলি চালায়। এতে তাদের অন্তত ১৮ নেতা-কর্মী আহত হন।
পুলিশ বলছে, রাস্তা ছাড়তে বলায় বিএনপির নেতা-কর্মীরা পুলিশের ওপর ইটপাটকেল ছুড়তে শুরু করে। তাতে ওসিসহ ১০ পুলিশ সদস্য আহত হন। পরে আত্মরক্ষার্থে পুলিশ বাধ্য হয়ে গুলি চালিয়েছে।
শহরের স্টেশন রোড এলাকায় জেলা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে সোমবার দুপুরে এই ঘটনা ঘটে।
জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খালেদ সাইফুল্লাহ সোহেল জানান, ৭ নভেম্বর উপলক্ষে বিএনপির আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে নেতা-কর্মীরা মিছিল নিয়ে যোগ দেয়ার সময় পুলিশ প্রথমে বাধা দেয়, একপর্যায় লাঠিচার্জ ও গুলি করে। গুলিতে জেলা যুবদলের সভাপতি খসরুজ্জামান শরীফসহ অন্তত ১৮ নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন।
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. মাজাহারুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আবু নাসের সুমনসহ তাদের বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।
তিনি বলেন, ‘আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশ হামলা করেছে। হামলার পর প্রায় দুই ঘণ্টা জেলা বিএনপি কার্যালয় অবরুদ্ধ করে রাখে পুলিশ।’
কিশোরগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ দাউদ বলেন, ‘বিএনপি নেতা-কর্মীরা রাস্তা আটকে মিছিল করছিলেন। তাদের রাস্তা ছাড়তে বলায় মিছিল থেকে পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু হয়। একপর্যায়ে কার্যালয়ের ভেতর থেকেও চেয়ার ছুড়ে মারেন তারা। এতে আমিসহ পুলিশের ১০ সদস্য আহত হয়েছেন। পরে শটগানের কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি চালিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা হয়।’
এ ঘটনায় দুইজনকে আটক করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।