রাজধানীতে আলপিন ও আলামিন নামের দুই গ্রুপের হোতাসহ ১৪ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে বিশেষ বাহিনী র্যাব।
রোববার মিরপুরের দারুস সালাম ও শাহ আলী এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে র্যাব-৪।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন আলপিন গ্রুপের হোতা মো. আরফিন ওরফে আলপিনসহ মোহাম্মদ রাশেদ, তানভির হোসেন, মো. রাকিব, শামীম হোসেন, শরীফ হোসেন ওরফে সজীব, সজীব হোসেন সামি, রমজান আলী, খাইরুল ইসলাম, আমিরে ফয়সাল। এ সময় আলামিন গ্রুপের হোতা আল আমিন মৃধাসহ শরিফুল মৃধা, সজিব হোসেন ও জিসান মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়।
দীর্ঘদিন ধরে আলপিন গ্রুপের হোতা (লিডার) আরেফিন ওরফে আলপিনের নেতৃত্বে ১০-১৫ জন এবং আল-আমিন গ্রুপের হোতা (লিডার) আল-আমিনের নেতৃত্বে ৬-৭ জন সদস্য শাহ আলী, দারুস সালাম, মিরপুর এলাকাসহ আশপাশের বিভিন্ন জায়গায় রাতের অন্ধকারে পথচারী ও যানবাহনে সাধারণ মানুষকে ছুরি ও চাকু দিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা, মোবাইল ফোন, স্বর্ণালংকারসহ দামি জিনিসপত্র ছিনতাই করে আসছিল।
গ্রেপ্তারের সময় তাদের কাছ থেকে তিনটি চাকু, দুটি ছুরি, দুটি এসএস পাইপ, ১৫টি মোবাইল, ১৫টি সিম কার্ড এবং ৩৫ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
র্যাব-৪-এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) এএসপি মাজহারুল ইসলাম এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি ঢাকাসহ পার্শ্ববর্তী এলাকার বিভিন্ন স্থানে যানবাহনে ছিনতাই ও ডাকাতির ঘটনা-সংক্রান্ত কয়েকটি অভিযোগের ভিত্তিতে র্যাব-৪-এর একটি গোয়েন্দা দলের ছায়াতদন্তে চাঞ্চল্যকর কিছু তথ্য বের হয়ে আসে। যাতে দেখা যায়, এসব এলাকার বিভিন্ন পয়েন্টে কিছু সংঘবদ্ধ ছিনতাইকারী চক্র অবস্থান নিয়ে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা সাধারণ মানুষের কাছ থেকে টাকাপয়সা, মোবাইল ফোন, ল্যাপটপসহ সঙ্গে থাকা দামি মালামাল ছিনতাই করে নিচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে, রাজধানীর দারুস সালাম ও শাহ আলী এলাকায় আলপিন ও আল-আমিন গ্রুপের কয়েকজন ছিনতাইকারী সংঘবদ্ধভাবে বেশ কয়েকদিন ধরে রাতের অন্ধকারে সাধারণ পথচারী ও যানবাহনে ছুরি, চাকু ও এসএস পাইপ দিয়ে যাত্রীদের ভয় দেখিয়ে ছিনতাই ও ডাকাতি করে আসছিল। ক্ষেত্রবিশেষে ভুক্তভোগীদেরক তারা দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে মারাত্মকভাবে জখম করত।
মাজহারুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আলপিন গ্রুপের লিডার আরেফিন ওরফে আলপিনের নেতৃত্বে ১০-১৫ জন এবং আলামিন গ্রুপের লিডার আল-আমিনের নেতৃত্বে ৬-৭ জন সদস্য শাহ আলী, দারুস সালাম, মিরপুর এলাকাসহ আশপাশের বিভিন্ন স্থানে রাতের অন্ধকারে পথচারী ও যানবাহনে সাধারণ মানুষকে ছুরি ও চাকু দিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা, মোবাইল ফোন, স্বর্ণালংকার, দামি জিনিসপত্র ডাকাতি ও ছিনতাই করে আসছিল।