নেত্রকোণার কেন্দুয়ায় নিখোঁজ মাদ্রাসাছাত্রের মরদেহ পাওয়া গেছে গ্রামেরই আরেক বাড়ির সামনে। পুলিশের ধারণা, তাকে হত্যার পর মরদেহ সেখানে ফেলে রাখা হয়েছে।
উপজেলার পানগাঁও গ্রামে মঞ্জু মিয়া নামের এক ব্যক্তির নির্মীয়মাণ বাড়ির সামনে থেকে সোমবার সকালে উদ্ধার করা হয় মরদেহটি।
নিহত শিশুর নাম নয়ন মিয়া। সে পানগাঁও গ্রামের আব্দুল ওয়াদুদের ছেলে। স্থানীয় মাদ্রাসায় চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ত সে।
কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী হোসেন এসব নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, মরদেহে আঘাতের একাধিক চিহ্ন আছে।
স্বজনদের বরাতে ওসি বলেন, ‘নয়ন মিয়া রোববার সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে বের হয়। এরপর আর ফিরে না আসায় স্বজনরা আশপাশে খোঁজাখুঁজি করেন। তাকে কোথাও পাওয়া যায়নি।
‘সোমবার সকালে স্থানীয়রা মঞ্জু মিয়ার নির্মীয়মাণ বাড়ির সামনে নয়নের মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। আমরা গিয়ে ময়নাতদন্তের জন্য তা নেত্রকোণা আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠাই।’
নয়নকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে একাধিক আঘাত করে হত্যা করা হয়েছে এবং রাতে বা ভোরে মরদেহ ওই বাড়ির সামনে রেখে দেয়া হয়েছে বলে ধারণা করছেন ওসি।
তিনি জানান, যে বাড়ির সামনে লাশ পাওয়া গেছে, নির্মীয়মাণ হওয়ায় সেখানে কেউ থাকেন না।