কুষ্টিয়া শহরে নিজ বাড়ি থেকে স্কুলশিক্ষক রোকসানা খানমের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনাস্থলে থাকা থানা পুলিশ জানিয়েছে, মরদেহে আঘাতের একাধিক চিহ্ন আছে; ঘরের সরঞ্জাম পাওয়া গেছে এলোমেলো অবস্থায়। ধারণা করা হচ্ছে, ডাকাতির উদ্দেশ্যে ঘরে ঢুকে রোকসানাকে হত্যা করা হয়েছে।
শহরের হাউজিং ডি ব্লকে নিজের ফ্ল্যাট থেকে সোমবার সকালে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
রোকসানা কুষ্টিয়া জেলা স্কুলের দিবা শাখার শিক্ষক ছিলেন। তার স্বামী খন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান যশোর এলজিইডিতে চাকরি করেন। কাজের কারণে যশোরেই থাকতেন মোস্তাফিজুর। কুষ্টিয়া শহরের ফ্ল্যাটে রোকসানা একাই থাকতেন।
সদর থানার ওসি দেলোয়ার হোসেন এসব জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘রোববার সন্ধ্যায় যশোর থেকে বাসায় ফিরেছিলেন রোকসানা। নির্মীয়মাণ এই ৬ তলা ভবনের দোতলায় থাকতেন তিনি। তার ওপরের তলায় তার ভাতিজাসহ অন্য আত্মীয়রা থাকেন। তারা সোমবার সকালে রোকসানাকে ডাকাডাকি করে সাড়া না পেয়ে ৯৯৯-তে ফোন করেন।
‘পুলিশ এসে দরজা ভেঙে তার মরদেহ উদ্ধার করে। তার মাথায় আঘাতের ক্ষতচিহ্ন আছে। বাসার আসবাব-মালপত্র সব এলোমেলো। ধারণা করা হচ্ছে, বারান্দার কার্নিশের ওপরে গোলাকৃতির ছিদ্র দিয়ে কেউ ঘরে প্রবেশ করে ডাকাতি শেষে তাকে হত্যা করে থাকতে পারে।’
খবর পেয়ে সকালেই ঘটনাস্থলে এসেছেন নিহতের স্বামী। পুলিশের একাধিক টিম সেখানে কাজ করছে।