বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

৬ মামলার আসামির উৎপীড়নে বন্ধ স্কুলছাত্রীর পড়ালেখা

  •    
  • ৭ নভেম্বর, ২০২২ ১২:০৫

ভুক্তভোগী মেয়েটির বাবা বলেন, ‘মামলার পর থেকে আব্বুইয়া দিনদুপুরে ও রাতে এসে প্রতিদিন আমার বাড়িতে হামলা করে এবং আমাকে ও আমার পরিবারের সদস্যদের মেরে ফেলার হুমকি দেয়। সে নিজেকে বিভিন্ন বাহিনীর সোর্স পরিচয় দিয়ে থাকে।’

কক্সবাজারের টেকনাফে কামরুল ইসলাম আব্বুইয়া নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে উৎপীড়নের অভিযোগ তুলেছে গ্রামবাসী।‌

আব্বুইয়া উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের খারাংখালী মহেষখালিয়াপাড়ার বাসিন্দা। এলাকাবাসী তাকে মাদক কারবারি ও সন্ত্রাসী আখ্যা দিয়ে জানিয়েছে, তার কর্মকাণ্ডের কারণে এক এসএসসি পরীক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে।

পুলিশ জানিয়েছে, আব্বুইয়া একাধিক মামলার আসামি। এখন তিনি পলাতক।

ওই স্কুলছাত্রীর পরিবার ও এলাকার লোকজন জানায়, তাকে অনেক দিন ধরে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন আব্বুইয়া। এতে সাড়া না পেয়ে গত ২৭ অক্টোবর স্কুল থেকে নির্বাচনী পরীক্ষা দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে মেয়েটিকে তুলে নেন তিনি। পুলিশ মেয়েটিকে উদ্ধার করে সেদিনই। জব্দ করা হয় অপহরণে ব্যবহার করা গাড়ি। তবে আব্বুইয়াকে পাওয়া যায়নি।

ওই রাতে টেকনাফ মডেল থানায় স্কুলছাত্রীর বাবা মামলা করেন। বাদীর অভিযোগ, মামলার পর থেকে তার বাড়িতে হামলা চালানো হচ্ছে।

মেয়েটির বাবা বলেন, ‘মামলার পর থেকে আব্বুইয়া দিনদুপুরে ও রাতে এসে প্রতিদিন আমার বাড়িতে হামলা করে এবং আমাকে ও আমার পরিবারের সদস্যদের মেরে ফেলার হুমকি দেয়। সে নিজেকে বিভিন্ন বাহিনীর সোর্স পরিচয় দিয়ে থাকে।

‘মঙ্গলবার রাতেও আমার একটি বাগানের দুই শতাধিক গাছ কেটে ফেলেছে আব্বুইয়ার নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী। মামলার পলাতক আসামি হয়েও এলাকায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে আব্বুইয়া। এ অবস্থায় আমি চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। এ ব্যাপারে আমি আরও একটি অভিযোগ বুধবার টেকনাফ থানায় দিয়েছি।’

খারাংখালীর বাসিন্দাদের অভিযোগ, এলাকায় কেউ আব্বুইয়ার বিরুদ্ধে কথা বলতে পারে না। তিনি নিজেকে র‌্যাবের সোর্স পরিচয় দেন। কোমরে সব সময় অস্ত্র বহন করেন। যে তার বিরুদ্ধে কথা বলে তাকে নানা ধরনের হুমকি-ধমকি দেন। পুরো এলাকায় তিনি ত্রাস ছড়িয়ে রেখেছেন।

টেকনাফ হোয়াইক্যং পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই জায়েদ হাসান জানান, ‘মেয়ে অপহরণের ঘটনা সত্যি। অভিযোগ পেয়ে আমিসহ পুলিশের একটি টিম মেয়েকে উদ্ধার করি। পরে মেয়ের বাবা থানায় মামলা করেছেন।

‘এ ছাড়া গত মঙ্গলবার রাতে ভুক্তভোগীর বাগানের গাছ কেটে ফেলার খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক আমি ঘটনাস্থলে পৌঁছি। এ সময় আব্বুইয়া ও তার সহযোগীরা পালিয়ে যায়। তার বিরুদ্ধে হত্যা, অস্ত্রসহ বিভিন্ন অপরাধের ৬ মামলা রয়েছে।’

অপহরণের মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই রুকনোজ্জামান জানান, আব্বুইয়া ও তার সহযোগীদের আটক করতে পুলিশের অভিযান চলছে।

অপহরণের ঘটনার বিচার চেয়ে রোববার মানববন্ধন করেন ওই স্কুলছাত্রীর সহপাঠী, শিক্ষক ও স্থানীয়রা।

স্কুলের প্রধান শিক্ষক বলেন, ‘ঘটনার পর থেকে মেয়েটার স্কুলে আসা বন্ধ রয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে নিরাপত্তাহীনতার কথা বলছেন। আমরা চাই এ ঘটনায় দোষীদের শাস্তি হোক, মেয়েটার স্কুলে ফেরার পথ সুগম হোক।’

এ বিভাগের আরো খবর