ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জয়ধরকান্দি-কুণ্ডা অংশের ৬ কিলোমিটারের রাস্তাটি দীর্ঘদিন ধরেই কাঁচা। সরাইলের পাকশিমুল ইউনিয়নের ৫ গ্রাম ও নাসিরনগরের কুণ্ডা ইউনিয়নের ৫টি গ্রামের প্রায় ৩০ হাজার মানুষের চলাচলের একমাত্র রাস্তা এটি। কাঁচা রাস্তা ব্যবহারে তাদের ভোগান্তি দীর্ঘদিনের।
এই রাস্তাটি পাকশিমুল এলাকার জয়ধরকান্দি গ্রাম থেকে শুরু করে মহিষবেড় হয়ে নাসিরনগরের কুণ্ডায় শেষ হয়ে সরাইল-নাসিরনগর হাইওয়েতে গিয়ে মিলেছে।
শুকনা মৌসুমের ৫ মাস সরাইল উপজেলার জয়ধরকান্দি, তেলিকান্দি, করিমপুর, কাসেমপুর এবং নাসিরনগর উপজেলার মহিষবেড়, মুহাম্মদপুর, শিমুলকান্দি বাগি, কদরকান্দির লোকজন চলাচল করে। এ সময় রাস্তাটি দেখতে অনেকটা ক্ষেতের চওড়া আইলের মতো মনে হয়।
বৃষ্টির মৌসুমে কাদায় ভরে যায় গোটা রাস্তা। মূলত এই সময়টায় গ্রামবাসীর ভোগান্তি বেড়ে যায়।
জয়ধরকান্দি গ্রামের ফয়েজ মিয়া বলেন, ‘স্বাধীনতার এত বছর পার হলেও আমাদের এলাকার উন্নয়ন হয়নি। আমাদের এলাকা অবহেলিত থেকে গেছে। সরকার দেশে অনেক উন্নয়ন করলেও এ রাস্তাটি পাকাকরণের কোনো পদক্ষেপ নেয়নি কর্তৃপক্ষ।’
মহিষবেড় গ্রামের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জিল্লুর রহমান বলেন, ‘চরম ভোগান্তির শিকার হয়ে এখানকার লোকজনের যাতায়াত করতে হয়। বিশেষ করে স্কুলের শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি বেশি। তাদের জামা-কাপড় ও বই-খাতায় কাদা মেখে যায়।’
স্থানীয় জয়ধরকান্দি আইডিয়াল অ্যাকাডেমির সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুল কাদির বলেন, ‘কাঁচা রাস্তা দিয়ে বছরে ৫ মাস অটোরিকশা কোনো রকমে চলাচল করে। সামান্য বৃষ্টি হলেই চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। বাকি ৭ মাস বর্ষায় পানিতে ডুবে থাকে।
‘প্রতিনিয়তই মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। আমরা বছরের পর বছর একটি রাস্তার অপেক্ষায় আছি। কিন্তু জনপ্রতিনিধিরা বারবার শুধু প্রতিশ্রুতি দিয়ে যাচ্ছেন। আজ অবধি জয়ধরকান্দি-মহিষবেড় রাস্তাটি হয়নি।’
নাসিরনগর উপজেলা চেয়ারম্যান রাফি উদ্দিন আহম্মদ জানান, এই রাস্তা নির্মাণের বিষয়ে তৎপরতা চলছে। স্থানীয় সংসদ সদস্য ও জেলা প্রশাসকের সঙ্গে এ নিয়ে তার আলোচনা হয়েছে।
এই রাস্তার বিষয়ে সরাইল ও নাসিরনগরের দুই সংসদ সদস্যের সঙ্গে আলাপ করবেন বলে জানিয়েছেন সরাইল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন ঠাকুর।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডির) সরাইল উপজেলা উপসহকারী প্রকৌশলী মো. আব্দুর রহিম মিয়া জানান, রাস্তাটি এমন বেহাল, তা তার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে তিনি ব্যবস্থা নেবেন।