ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মাসব্যাপী বিশেষ মশক নিধন কার্যক্রমের অংশ হিসেবে রোববার অভিযান চালিয়ে এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ১৯ মামলায় নয় লাখ দশ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। এছাড়াও নিয়মিত মামলা করা হয়েছে ৭টি।
ডিএনসিসির সব অঞ্চলে একযোগে এ অভিযান পরিচালনা করেন আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা। নভেম্বর মাস জুড়ে এই অভিযান চলবে।
ডিএনসিসির অঞ্চল-৫ এর আওতাধীন ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের মোহাম্মদপুরের তাজমহল রোড এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোতাকাব্বীর আহমেদ রোববার মশক নিধন অভিযান ও ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। অভিযানে এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ৮টি মামলায় ৪ লাখ ২০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। এ সময় এডিস মশার প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে জনগণকে সচেতন ও সতর্ক করা হয়।
এছাড়া অঞ্চল-১ এর আওতাধীন উত্তরা ৩ নম্বর সেক্টরে আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জুলকার নায়ন অভিযান পরিচালনা করেন। এই অভিযানে এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় ৫টি মামলায় ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। এছাড়াও ৩টি নিয়মিত মামলা করা হয়।
অঞ্চল-৯ ও ১০ এর আওতাধীন ভাটারা ও আফতাবনগর এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াউল বাসেত অভিযান চালান। সেখানে এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ৪টি মামলায় ১ লাখ ৯০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
ডিএনসিসির অঞ্চল-৩ এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল বাকী ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ১টি নির্মাণাধীন ভবনে এডিসের লার্ভা পাওয়ায় ১টি মামলায় ১ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করেন।
ডিএনসিসির অঞ্চল-৪ এর আওতাধীন পাইকপাড়া ও কাজীপাড়ায় অভিযান চালান আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আবেদ আলী। এই অভযানে ফুটপাত ও রাস্তায় মালামাল রেখে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করায় ৪টি মামলায় ৩০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
অঞ্চল-২ এর আওতাধীন মিরপুর মডেল থানা এলাকায় আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াউর রহমান অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানে লার্ভা পাওয়ায় ২টি মামলায় ২০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
এছাড়াও প্রতিটি এলাকায় সকালে লার্ভিসাইডিং ও বিকালে ফগিং করা হয়। এ সময় ডিএনসিসির সহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা দশটি অঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে ঘুরে ঘুরে লিফলেট বিতরণ করেন এবং মাইকিং করে জনসাধারণকে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সচেতন করেন।
ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকতা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জোবায়দুর রহমান এবং উপ-প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকতা লে. কর্নেল মো. গোলাম মোস্তফা সারওয়ার কয়েকটি অঞ্চল পরিদর্শন করেন।