সিলেটে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে বিএনপি নেতা আ ফ ম কামাল নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এক ছাত্রদল নেতাকে আটক করেছে পুলিশ।
নগরের আম্বরখানা বড় বাজার এলাকায় রোববার রাত ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
আ ফ ম কামাল ছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক এবং জেলা ছাত্রদলের সাবেক প্রচার সম্পাদক। তার বাড়ি নগরের সুবিদবাজার এলাকায়।
এ ঘটনার প্রতিবাদে রাতে বিক্ষোভ মিছিল করে জেলা ও মহানগর বিএনপি।
ঘটনাস্থল থেকে সিলেট বিমানবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাইনুল জাকির বলেন, ‘রোববার রাতে বড়বাজার এলাকায় নিজের প্রাইভেটকারে বসা ছিলেন কামাল। এ সময় মোটরসাইকেলে আসা দুই ব্যক্তি তাকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। এমএজি ওসমানী মেডিক্যালে নেয়ার পর তার মৃত্যু হয়।’
মরদেহ ওসমানী মেডিক্যালে রাখা হয়েছে জানিয়ে ওসি বলেন, ‘আমরা অভিযান চালিয়ে ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে রাজু নামের এক ছাত্রদল নেতাকে আটক করেছি। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। জড়িত অন্যদেরও গ্রেপ্তারে অভিযান চালাচ্ছি।’
বিএনপি নেতাকে হত্যার প্রতিবাদে নেতা-কর্মীরা ওসমানী মেডিক্যালের সামনে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন।
ওসমানী হাসপাতাল থেকে সিলেট জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি আবদুল আহাদ খান জামাল বলেন, ‘কে বা কারা তাকে ছুরিকাঘাত করেছে তা আমরা এখনও জানতে পারিনি। রাজনৈতিক বিরোধ থেকে এ হত্যাকাণ্ড কিনা তাও আমরা নিশ্চিত নই।’
সিলেটে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ আগামী ১৮ নভেম্বর। এর আগে এমন ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে জেলা বিএনপি। এই হত্যাকাণ্ডে ক্ষমতাসীন দলের লোকজনের সম্পৃক্ততা সন্দেহ করছেন নেতারা।
বিএনপি নেতা কামাল হত্যার প্রতিবাদে সিলেট নগরীতে লাঠি নিয়ে মিছিল করেন নেতা-কর্মীরা।
জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এমরান আহমদ চৌধুরী বলেন, ‘বিএনপির পক্ষে গণজোয়ার দেখে ভীত হয়ে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। খুন-হামলার মাধ্যমে তারা সিলেটে বিএনপির সমাবেশ পণ্ড করতে চায়। তবে কোনোভাবেই বিএনপিকে দমানো যাবে না।’
এদিকে, কামালের মৃত্যুর খবরে রাতে ওসমানী মেডিক্যালের সামনে জড়ো হয়ে সরকারবিরোধী নানা শ্লোগান তুলে মিছিল করেছেন জেলা ও মহানগর বিএনপির নেতা-কর্মীরা। তারা রাস্তার ওপর আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন। এরপর নগরীতে লাঠি হাতে মিছিল করে নেতা-কর্মীদের একটি অংশ।