পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত পাঁচ কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ ২০২২ সালের ৩০ জুনে সমাপ্ত হিসাব বছরের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে শেয়ার হোল্ডারদের জন্য লভ্যাংশ-সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত জানিয়েছে। এর মধ্যে তিনটি কোম্পানি নগদ, একটি নগদসহ বোনাস ও একটি কোম্পানি লভ্যাংশ না দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মাধ্যমে কোম্পানিগুলো রোববার এই তথ্য জানিয়েছে।
কোম্পানিগুলো হলো হাক্কানি পাল্প অ্যান্ড পেপার মিলস লিমিটেড, সিলকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড, দ্য ঢাকা ডায়িং অ্যান্ড ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি লিমিটেড, আমরা টেকনোলজিস লিমিটেড ও সেন্ট্রাল ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড।
হাক্কানি পাল্প অ্যান্ড পেপার:
কোম্পানির পর্ষদ উদ্যোক্তা পরিচালকদের কোনো লভ্যাংশ না দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ১ শতাংশ নগদ, অর্থাৎ শেয়ারপ্রতি ১০ পয়সা লভ্যাংশ দেবে। এই সময়ে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) ঋণাত্মক বা লোকসান হয়েছে ১ টাকা ৩০ পয়সা।
একই সঙ্গে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২৩ টাকা ৫৬ পয়সা। লভ্যাংশ পেতে হলে বিনিয়োগকারীদের শেয়ার ধারণ করতে হবে ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত, অর্থাৎ ওই দিন রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে। আর লভ্যাংশ অনুমোদনের জন্য কোম্পানিটি বার্ষিক সাধারণ সভা বা এজিএম করবে আগামী ১৭ ডিসেম্বর।
সিলকো ফার্মাসিউটিক্যালস:
কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ পরিচালক ছাড়া অন্য সব শেয়ারহোল্ডারদের ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ বা শেয়ারপ্রতি ৫০ পয়সা দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই সময়ে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৮১ পয়সা। এ ছাড়াও শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২১ টাকা ৯৫ পয়সা।
লভ্যাংশ-সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট ৫ ডিসেম্বর। লভ্যাংশ অনুমোদনের জন্য কোম্পানি এজিএম করবে আগামী ১০ জানুয়ারি।
ঢাকা ডায়িং অ্যান্ড ম্যানুফ্যাকচারিং:
কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ শূন্য দশমিক ২৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অর্থাৎ বিনিয়োগকারীরা শেয়ারপ্রতি আড়াই পয়সা পাবেন। কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১০ পয়সা। শেয়ারপ্রতি সম্পদ (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৩৪ টাকা ৬৪ পয়সা।
এ-সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ২৮ নভেম্বর। লভ্যাংশ অনুমোদনের জন্য কোম্পানি এজিএম করবে আগামী ৫ জানুয়ারি।
আমরা টেকনোলজিস:
কোম্পানি শেয়ারহোল্ডারদের ১২ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এর মধ্যে ৬ শতাংশ নগদ অর্থাৎ শেয়ারপ্রতি ৬০ পয়সা নগদ ও ৬ শতাংশ বোনাস বা প্রতি ১০০টি শেয়ারের বিপরীতে ৬টি নতুন শেয়ার দেবে কোম্পানিটি।
বছরটিতে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৭৮ পয়সা। শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ২৪ টাকা ০৯ পয়সা। এ-সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ২৪ নভেম্বর। লভ্যাংশ অনুমোদনের জন্য আগামী ২৯ ডিসেম্বর এজিএম করবে কোম্পানি।
সেন্ট্রাল ফার্মাসিউটিক্যালস:
আলোচিত হিসাব বছরের জন্য কোম্পানির পর্ষদ শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ না দেয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে। বছরটিতে কোম্পানির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) ঋণাত্মক বা লোকসান হয়েছে ৫৭ পয়সা। শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৫ টাকা ৯৬ পয়সা।
এ-সংক্রান্ত রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ২৪ নভেম্বর। লভ্যাংশ না দেয়ার সিদ্ধান্ত শেয়ারহোল্ডারদের সম্মতিক্রমে অনুমোদনের জন্য এজিএম হবে আগামী ২৯ ডিসেম্বর।