পূর্বাঞ্চলের প্লট অতি দ্রুত বরাদ্দ পাওয়া ব্যক্তিদের বুঝিয়ে দেয়ার ব্যবস্থা করা হবে বলে জাতীয় সংসদকে জানিয়েছেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ। মামলা-সংক্রাস্ত জটিলতার কারণে প্লট বরাদ্দ বুঝিয়ে দিতে দেরি হয়েছে বলে জানান তিনি।
রোববার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তরপর্বে আওয়ামী লীগের সদস্য শামীম ওসমানের এক প্রশ্নের উত্তরে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী এ তথ্য জানান। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।
শামীম ওসমান তার প্রশ্নে পূর্বাচলে টাকা দিয়ে অনেকে প্লট বরাদ্দ পাচ্ছেন না; তাদের ব্যাপারে কী করা হবে জানতে চান। জবাবে শরীফ আহমেদ বলেন, ‘আমরা পূর্বাচলে ১২০টি প্রাতিষ্ঠানিক প্লট অনুমোদন করে দিয়েছি। মামলার সমস্যা নাই, আমরা এই প্লট অনুমোদন দিতে পেরেছি।
‘বিশেষ একটি এনজিও ও পরিবেশবাদী সংগঠন প্রাতিষ্ঠানিক প্লটের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। এটা নিয়ে আমি ও সচিব অ্যাটর্নি জেনারেলের সঙ্গে কথা বলেছি। তাদের সঙ্গে কথা বলে যারা প্লটের টাকা দিয়েছেন অতি দ্রুত তাদের বরাদ্দ পাওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।’
আওয়ামী লীগের আরেক সদস্য শহীদুজ্জামান সরকারের ‘গ্রামের মানুষের জন্য উপজেলা পর্যায়ে স্বল্পমূল্যে আবাসিক ফ্ল্যাটের ব্যবস্থা করা যায় কি না’ শীর্ষক সম্পূরক প্রশ্নে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ বলেন, ‘বিভিন্ন জেলা-উপজেলা থেকে বা শহর থেকে সাধারণ মানুষের চাপ কমানোর লক্ষ্যে বিভিন্ন জেলা-উপজেলা পর্যায়ে স্বল্প সুদে আবাসিক ফ্ল্যাট নির্মাণের কাজ আমরা শুরু করেছি। এই কাজ ভবিষ্যতেও চলমান থাকবে।’
ক্ষমতাসীন দলের আরেক সদস্য অসীম কুমার উকিলের এক সম্পূরক প্রশ্নের উত্তরে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা রেট শিডিউল অনুমোদন করে দিয়েছি। পরবর্তী সময়ে যে টেন্ডার হবে যেসব সামগ্রী দিয়ে নির্মাণকাজ করা হয় তা বর্তমান রেটে হবে। শিডিউলে নতুন রেটে টেন্ডার হচ্ছে। আর যেসব কাজ চলমান আছে বা আংশিক হয়েছে, সেসব কাজের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে সমাধান করব।’