রাঙ্গামাটির কাপ্তাই হ্রদে বালুবাহী ট্রলারের সঙ্গে স্পিডবোটের সংঘর্ষে নিখোঁজ দুই যাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস। গত শুক্রবার এই দুর্ঘটনা ঘটেছিল। এরপর শনিবার রাতে একজনের ও রোববার সকালে আরেকজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
মৃতরা হলেন- রাঙামাটির বিলাইছড়ির কেংড়াছড়ির মুক্ত লাল চাকমার ২০ বছর বয়সী ছেলে রিটন চাকমা ও বরকলের সুবলং এলাকার সুরত চাকমা ২০ বছর বয়সী মেয়ে এলোমিনা চাকমা।
দুজনই বাঘাইছড়ি উপজেলার শিজক কলেজে বিএ প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন লংগদু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইকবাল উদ্দিন।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে ইকবাল বলেন, ‘শুক্রবার বাঘাইছড়ির শিজক থেকে রাঙামাটির উদ্দেশ্যে যাত্রী নিয়ে আসছিল স্পিডবোটটি। অন্যদিকে রাঙামাটি শহর থেকে বালু নিয়ে যাচ্ছিল ট্রলার। কাট্টোলীর গাছটিলে পৌঁছালে স্পিডবোট ও ট্রলারের সংঘর্ষ হয়। এ সময় স্পিডবোটে থাকা যাত্রীরা ছিটকে পানিতে পড়ে যায়। স্পিডবোটটিও কাপ্তাই হ্রদে ডুবে যায়।’
তিনি জানান, স্পিডবোটে থাকা ৯ যাত্রীর মধ্যে ৭ জন সাঁতরে তীরে উঠতে পারলেও দুইজন নিখোঁজ ছিলেন। শনিবার রাতেই একজনের মরদেহ ভেসে উঠলে পুলিশ তা উদ্ধার করে। রোববার উদ্ধার করা হয় আরেকজনের ভেসে ওঠা মরদেহ।
এই ঘটনা সম্পর্কে ট্রলারের চালক নজরুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ট্রলারে ভেতর নামাজ পড়ে ছাদে উঠতেই দেখি স্পিডবোটটি আমার ট্রলারের দিকে জোরে আসতেছে। চোখের পলক পড়তেই স্পিডবোট ট্রলারে ধাক্কা দেয়।’
স্পিডবোটচালক হিমেল চাকমা বলেন, ‘আমার চোখে হঠাৎ কিছু পড়েছে বলে মনে হচ্ছিল। আমি এক হাত দিয়ে চোখ পরিষ্কার করতে থাকি তখনই মুখোমুখি হয়ে সংঘর্ষ হয়ে যায়। এতে দুই যাত্রী নিখোঁজ হয়।’
ওসি বলেন, ‘পরিবারের অনুরোধে মৃতদের ময়নাতদন্ত করা হয়নি, মামলাও হয়নি।’