চট্টগ্রামে ইপিজেড থানা এলাকায় একটি ভবনের পানির ট্যাংক থেকে নারীর গলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার বিকেলে বন্দরটিলা এলাকার আায়েশার মার গলির ভবন থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ।
২০ বছর বয়সী সর্জিনা আক্তার ওই ভবনেরই বাসিন্দা ছিলেন। পোশাকশ্রমিক সর্জিনার গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কেশবপুরে। তার স্বামী মো. হাসান ওই এলাকায় নির্মাণশ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন।
পুলিশ জানায়, সর্জিনার স্বামী মো. হাসান বৃহস্পতিবার বাসা থেকে যখন বের হন তখন বাসায় তার স্ত্রী ছিলেন না। ৭ মাস বয়সী সন্তানকে বাড়িওয়ালার কাছে রেখে স্ত্রী বাসায় ফিরলে তাকে দেয়ার কথা বলে বের হন। পরদিন শুক্রবার স্থানীয় থানায় গিয়ে স্ত্রী নিখোঁজ হয়েছেন বলে দাবি করেন। তবে এই ঘটনায় কোনো নিখোঁজ ডায়েরি করেননি তিনি। পুলিশকে স্ত্রী নিখোঁজের কথা জানিয়ে থানা থেকে বের হয়ে যান হাসান, এরপর থেকেই লাপাত্তা তিনি।
এদিকে শনিবার বাসার পানিতে দুর্গন্ধ পেয়ে বাড়িওয়ালার কাছে অভিযোগ করেন অন্য ভাড়াটেরা। দুর্গন্ধের উৎস খুঁজতে গিয়ে বাসার ছাদে রাখা পানির ট্যাংকে হাসানের স্ত্রী সর্জিনার মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়া হয়। পুলিশ এসে মরদেহটি উদ্ধার করে।
ইপিজেড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল করিম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমাদের ধারণা উদ্ধারের অন্তত দুই দিন আগে হাসানই সর্জিনাকে হত্যা করেছে। নিজের দায় ঢাকতে থানায় এসে পুলিশকে জানিয়েছে। এরপর থেকেই লাপাত্তা সে। আমরা খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছি তাদের মধ্যে সব সময় কলহ লেগে থাকত। কলহ থেকে মারামারিও হতো। হাসানকে গ্রেপ্তারের পর বিস্তারিত জানা যাবে।’
এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। হাসান-সর্জিনা দম্পতির শিশুসন্তানকে তার খালার কাছে রাখা হয়েছে বলে জানান ওসি আবদুল করিম।