কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের ৬টি জেলার ১৯২টি কেন্দ্রে একযোগে উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এ বছর ৪১৯টি প্রতিষ্ঠান থেকে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৮৭ হাজার ৬৪১ জন। এর মধ্যে ছাত্রী ৪৯ হাজার ৫৭০ জন এবং ছাত্র ৩৮ হাজার ৭১ জন।
তার আগে ২০২২ সালের কুমিল্লা বোর্ডের অধীনে এইচএসসি পরীক্ষার জন্য নিবন্ধন করেন ১ লাখ ১৬ হাজার ৫৭১ জন।
তবে পরীক্ষার জন্য ফরম পূরণ করেছেন ৮৫ হাজার ২৭৮ জন। অর্থাৎ রেজিস্ট্রেশন করেও কুমিল্লা বোর্ড থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে না ৩১ হাজার ২৯৩ জন শিক্ষার্থী। এই ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে ১৮ হাজার ৩৬২ জন ছাত্রী এবং ১২ হাজার ৯৩১ জন ছাত্র।
শিক্ষা বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, বিজ্ঞান বিভাগে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২১ হাজার ২৫ জন, মানবিক বিভাগে ৪১ হাজার ৫৯০ জন এবং ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে ২৫ হাজার ২৬ জন।
কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে কুমিল্লা জেলায় পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৩০ হাজার ১৭২ জন, ফেনী জেলায় ৮ হাজার ৬৭২ জন, নোয়াখালী ১৪ হাজার ৭১১ জন, চাঁদপুর জেলায় ১৪ হাজার ৩০ জন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় ১১ হাজার ৮৮২ জন, লক্ষ্মীপুর জেলায় ৭ হাজার ৪৭৪ জন। সবচেয়ে বেশি পরীক্ষার্থী ও পরীক্ষা কেন্দ্র কুমিল্লা জেলায়।
‘কেন এত ঝরে পড়া ‘- বিষয়ে কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের উপপরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মোহাম্মাদ হাবিবুর রহমান বলেন, ‘প্রতি বছরই নিবন্ধন করে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন না গড়ে ২৩-২৪ হাজার শিক্ষার্থী। এ বছর সংখ্যাটা বেশি হওয়ার কারণ হলো যেসব শিক্ষার্থী এ বছর পরীক্ষা দিচ্ছে তাদের বেশির ভাগই ভর্তি হয়েছিল করোনার মাঝামাঝিতে।
‘পাশাপাশি ঝরে পড়াদের মধ্যে এসএসসি পাসের পর প্রত্যন্ত অঞ্চলের ছেলেরা কাজের খোঁজ করে। তারা দেশে কিংবা বিদেশে কাজে যোগ দেয়। মেয়েদের ক্ষেত্রে আমরা দেখেছি বিয়ে করে সংসারী হওয়া। এসব মিলিয়ে এত ঝরে পড়া।’
তবে যত যাই হোক পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে গ্রহণ করা হবে বলে জানালেন কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর জামাল নাছের।
তিনি বলেন, ‘আগেই পরীক্ষার সব প্রস্তুতি সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রে খবর নেয়া হয়েছে। সুষ্ঠু পরিবেশে পরীক্ষা নেয়ার জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে কেন্দ্রগুলোতে। আশা করি কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষার্থীরা শান্তিপূর্ণ পরিবেশে পরীক্ষা দিতে পারবে।’
কেন্দ্রের খবরাখবর জনতে নিজেই পরিদর্শনে যাবেন উল্লেখ করে কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান বলেন, ‘সম্পূর্ণ নকলমুক্ত পরিবেশে কুমিল্লায় পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিটি উপজেলায় পরীক্ষার সরঞ্জামাদি চলে গেছে। পরীক্ষার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। শান্তিপূর্ণভাবে কুমিল্লায় পরীক্ষা শুরু হচ্ছে এবং তা সুশৃঙ্খলভাবে অনুষ্ঠিত হবে।’