বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) সহযোগী প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানির (এসএওসিএল) ৪৭২ কোটি ৭০ লাখ টাকা অনিয়মের যে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে সে বিষয়ে জানতে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট।
রোববার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বপ্রণোদিত হয়ে এ আদেশ দেয়।
’৪৭.২ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে বিপিসির সহযোগী প্রতিষ্ঠান’ শিরোনামে একটি জাতীয় দৈনিকে সংবাদ প্রকাশ হয়। প্রতিবেদনটি আদালতের নজরে আনেন সুপ্রিমকোর্টের সিনিয়র আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
পরে বিষয়টি আমলে নিয়ে আদালত এ বিষয়ে ব্যাখ্যা জানাতে রুল জারি করে। দুদকের চেয়ারম্যান, বিপিসির চেয়ারম্যান, কন্ট্রোলার এন্ড অডিটর জেনারেল ও স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানিকে ১০ দিনের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। আগামী ২০ নভেম্বর এ বিষয়ে শুনানির দিন ঠিক করে দিয়েছে আদালত।
এ সময় আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে আইনজীবী ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন।
পত্রিকাটির প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) সহযোগী প্রতিষ্ঠান স্ট্যান্ডার্ড এশিয়াটিক অয়েল কোম্পানির (এসএওসিএল) ২১ অনিয়মের কারণে সরকার ৪৭২ কোটি ৭০ লাখ টাকা থেকে বঞ্চিত হয়েছে।
কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল (সিএজি) ২০১২-১৩ থেকে ২০১৯-২০ অর্থবছর পর্যন্ত এসএওসিএলের নথি পর্যালোচনা করে এ তথ্য জানতে পেরেছে।
বিপিসি ও এশিয়াটিক ইন্ডাস্ট্রিজের মধ্যে ৫০-৫০ যৌথ উদ্যোগ এসএওসিএল। প্রতিষ্ঠানটি ইঞ্জিন তেল, যানবাহনের তেল, ডিজেল, বিটুমিন, তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস ও ফার্নেস তেল বিপণন ও বিতরণ এবং কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমানে জেট ফুয়েল সরবরাহ করে।
এসএওসিএলের নথি পর্যালোচনায় যেসব অসঙ্গতি দেখা গেছে, এগুলোর মধ্যে রয়েছে শীর্ষ কর্মকর্তাদের অর্থ আত্মসাৎ, উচ্চ হার, ওভারটাইম, অনুপস্থিত তহবিল, মামলা-মোকদ্দমা ফি দেয়ায় অনিয়ম ও আয়কর অধ্যাদেশ এবং ভ্যাট বিধি লঙ্ঘন।
প্রতিষ্ঠানটির ৫ পরিচালকের একজন এবং ব্যবস্থাপনা উপদেষ্টা কমিটির সভাপতি মঈনুদ্দিন আহমেদ এসব অনিয়মের সঙ্গে জড়িত বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।