ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার কালামৃধা ইউনিয়নের দক্ষিণ কালামৃধা গ্রামে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে নবীন মাতুব্বর নামে এক কিশোরকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার দুপুরে জমি পরিমাপের সময় সালিশ বৈঠক চলাকালে ফারুক মাতুব্বরের ১৫ বছর বয়সী ছেলে নবীনকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে আহত করা হয়। বিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
কিশোর নবীন হত্যার প্রতিবাদে এ দিন বিকেলে উত্তেজিত গ্রামবাসী অভিযুক্তদের বসতবাড়িতে ভাংচুরের চেষ্টা চালায়। খবর পেয়ে ভাঙ্গা থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
জানা যায়, জমিজমা নিয়ে ফারুক মাতুব্বরের সঙ্গে মান্নান মাতুব্বরের দীর্ঘদিনের দ্বন্দ্ব। বিষয়টি নিয়ে কালামৃধা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান লিটু মাতুব্বর উভয়কে মীমাংসার প্রস্তাব দিলে শনিবারে সকালে সালিশ বৈঠক শুরু হয়।
দুপুর গড়িয়ে সালিশ বৈঠক শেষ না হওয়ায় পরবর্তী শনিবার সালিশ বৈঠকের দিন ঠিক হয়। সালিশ বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন কালামৃধা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল হক মাতুব্বর। সালিশের শেষ পর্যায়ে দুই পক্ষের লোকজনের মধ্যে বাকবিতণ্ডার সৃষ্টি হয়।
এক পর্যায়ে তা সংঘর্ষে রূপ নিলে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে নবীনকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে মান্নান মাতুব্বরের লোকজন। পরে স্থানীয়রা নবীনকে উদ্ধার করে প্রথমে ভাঙ্গা হাসপাতাল ও পরে ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে বিকেলে তার মৃত্যু হয়।
ভাঙ্গা থানার ওসি মো. জিয়ারুল ইসলাম জানান, পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। নিহতের পরিবার থানায় মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছে।