বাহাত্তরের সংবিধানে ফিরে যাওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। সে ক্ষেত্রে সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম থাকবে কী থাকবে না, সেটি নিয়েও চিন্তাভাবনা চলছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
শনিবার সকালে রাজধানীর ধানমন্ডিতে অবস্থিত সোহরাওয়ার্দী ভবনে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অফ ল অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার (বিলিয়া) আয়োজিত সংবিধান দিবস উদযাপন উপলক্ষে এক আলোচনাসভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন তিনি।
আনিসুল হক বলেন, ‘রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম থাকবে কি না- এই ব্যাপারে আমাদের চিন্তাভাবনা আছে, কারণ আমরা ৭২-এর সংবিধানে ফিরে যেতে চাই। তবে কখন, কোন সময়ে বা কোন বাস্তবতার নিরিখে এটা করা হবে বা করা হবে না- এটা দল ও সরকার চিন্তা করবে।
মন্ত্রী বলেন, ‘ফিফটিন অ্যামেন্ডমেন্টের দ্বারা আমাদের যে অরজিনাল সংবিধান ছিল, সে সংবিধান হলো ৭২-এর সংবিধান। সে সংবিধানে আমরা অনেকাংশেই ফিরে গেছি। আপনারা দেখেছেন ষোড়শ সংশোধনীর মাধ্যমে আমরা আরও কিছুটা ফিরে যাওয়ার চেষ্টা করেছি, সেখানে বাধা-বিপত্তি এসেছে। আমি এর থেকে আর বেশি কিছু বলতে পারব না।’
তারেক রহমানের সাজা বাড়ানোর জন্য সরকার আপিল করবে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘তারেক রহমান সাক্ষ্যপ্রমাণ দ্বারা প্রমাণিত একুশে আগস্ট মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি। তার সাজা বাড়ানোর জন্য সরকার আপিল করবে কি না এ জন্য আপনাদের অপেক্ষা করতে হবে। অপেক্ষা করেন, দেখেন কী হয়।’
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘বেশি বাড়াবাড়ি করলে খালেদা জিয়াকে জেলে পাঠানো হবে’, সরকার চাইলেই কি এক্সিকিউটিভ পাওয়ার প্রয়োগ করতে পারে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘অবশ্যই সরকার প্রয়োগ করতে পারে। তার সাজা স্থগিত করা হয়েছে। আর স্থগিত থাকলে তো সেটা আবার প্রয়োগ করাই যায়। তবে এখনো এই চিন্তাভাবনা নাই। তবে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন বাড়াবাড়ি করলে চিন্তা করা হবে।’
আলোচনায় বিচারপতি সামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে জিয়াউর রহমান সংবিধানকে তছনছ করে দিয়েছিল। তিনি প্রথমবারের মতো ধর্মের রাজনীতি শুরু করেন।
তিনি বলেন, ‘জাতির পিতা এই সংবিধান তৈরি করেছেন। তিনি সারা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের সংবিধান সংগ্রহ করে সেখান থেকে পর্যালোচনা করে এই সংবিধান তৈরি করেছেন।’
আলোচনায় সঞ্চালোনা করেন বিলিয়ার পরিচালক প্রফেসর ড. মিজানুর রহমান।
এ ছাড়া বক্তব্য দেন বিলিয়ার চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আমিরুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের প্রফেসর শেখ হাফিজুর রহমান কার্জনসহ অন্যরা।