ফরিদপুর-২ আসনের উপনির্বাচনে ফলাফল ঘোষণার পর সালথা উপজেলায় নৌকার দুই পক্ষের বিজয় মিছিলে পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।
শনিবার বিকাল সোয়া ৫টার দিকে উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের ভাবুকদিয়া গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। ভাবুকদিয়া কেন্দ্রে ফলাফল ঘোষণা করার পর বিজয় মিছিল বের করে আধিপত্য নিয়ে বিরোধ থাকা দুটি পক্ষ।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সালথায় গট্টী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ফজলুর মতিন বাদশার ছেলে পাভেল রায়হান ও সেকেন্দার মোল্যার সঙ্গে গট্টী ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ড মেম্বার মুরাদ ও ইব্রাহিম মোল্যার আধিপত্য নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। এ আধিপত্য নিয়ে গত কয়েক বছরে কয়েক দফা মারামারিও হয়েছে।
ফরিদপুর-২ আসনের উপ-নির্বাচনে সালথার ভাবুকদিয়া কেন্দ্রে ফলাফল ঘোষণার পর ভাবুকদিয়া স্কুলের দক্ষিণ পাশের রাস্তা দিয়ে নৌকার একটি বিজয় মিছিল বের করেন পাভেল রায়হান ও সেকেন্দার মোল্যার লোকজন। একই সময়ে ভাবুকদিয়া স্কুলের পশ্চিম পাশের রাস্তা দিয়ে নৌকার আরেকটি বিজয় মিছিল মুরাদ ও ইব্রাহিম মোল্যার লোকজন।
এ অবস্থায় দুই পক্ষই স্কুলের মাঠের দিকে একইসঙ্গে মিছিল নিয়ে আসতে গেলে শুরু হয় সংঘর্ষ। এতে অন্তত ১০ জন আহত হন। তাৎক্ষণিকভাবে আহতদের নাম-পরিচয় জানা সম্ভব হয়নি।
পাভেল ও সিকান্দারের অভিযোগ, মুরাদ মোল্যা ও ইব্রাহিম মোল্যার লোকজন প্রথমে তাদের মিছিলে হামলা চালালে তাদের লোকজনও পাল্টা হামলা চালায়।
তবে মুরাদ মোল্যা বিজয় মিছিলে হামলা চালানোর বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, ‘আমি পঙ্গু মানুষ। কেনই-বা আমার লোকজন প্রতিপক্ষের ওপর হামলা চালাবে। বরং আমার লোকজন মিছিল নিয়ে মাঠের দিকে গেলে তাদের ওপর হামলা করে প্রতিপক্ষ।’
এ বিষয়ে সালথা থানার ওসি মো. শেখ সাদিক বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। আপাতত পরিবেশ শান্ত রয়েছে।