সব ধরনের যানবাহন বন্ধ থাকায় বিভিন্ন পন্থায় বিএনপির সমাবেশস্থলে আসছেন নেতা-কর্মীরা। কেউ নৌকা, আবার কেউ বা ভেলায় ভেসে সমাবেশে এসেছেন।
ড্রামের ওপর ভেসে নেতা-কর্মীরা বেলা পৌনে ৩টার দিকে বরিশাল খেয়াঘাটে পৌঁছান। সেখান থেকে সমাবেশস্থলে আসেন তারা।
ড্রামে ভেসে আসা মো. রনি বলেন, ‘সবকিছু বন্ধ করছে যাতে সমাবেশস্থলে আসতে না পারি। তাই ড্রামের ওপর ভেসে বরিশালে এসেছি। সমাবেশ সফল করতেই হবে আমাদের।’
শাওন বলেন, ‘গণতন্ত্র মুক্ত করার আন্দোলনে কোনো ছাড় নয়। একজনকে কীর্তনখোলা নদী সাঁতরে আসতে দেখেছি। আমরা কোনো উপায় না পেয়ে ড্রামের ওপর ভাসতে ভাসতে আসছি ৭ জন। খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার আন্দোলন চলবে।’
সমাবেশ শুরু হওয়ার পরও অনেক নেতা-কর্মী নদীপথে সমাবেশস্থলে এসেছে বিভিন্ন উপায়ে।
এর আগে, নগরীর লঞ্চঘাটসংলগ্ন ডিসি ঘাট ও মুক্তিযোদ্ধা পার্কে শনিবার দুপুর ১২টার দিকে এসব ট্রলার ভিড়তে দেখা গেছে। প্রায় ৪০-৫০টি ট্রলার নিয়ে নেতা-কর্মীরা সমাবেশস্থলে আসছেন। এ সময় সরকারবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দিতে শোনা গেছে নেতা-কর্মীদের।
মেহেন্দীগঞ্জ থেকে আসা শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা ১৭টি ট্রলার নিয়ে সমাবেশে এসেছি। আমাদের সব নেতা-কর্মী অধীর আগ্রহে ছিল কখন সমাবেশস্থলে যাবে এবং কীভাবে যাবে। আমরা সফল হয়েছি। সব বাধা পেরিয়ে আমরা সমাবেশে এসেছি।’
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের সিদ্ধান্তে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যমূল্য বৃদ্ধি, কয়েকটি জায়গায় নেতা-কর্মীকে হত্যার অভিযোগ, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং দেশব্যাপী দলীয় নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা-মামলার প্রতিবাদে বিভাগীয় গণসমাবেশ করছে বিএনপি। বরিশালের আগে সমাবেশ হয়েছে চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, খুলনা ও রংপুরে।