সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার সুনির্দিষ্ট সময়সীমা বলা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন র্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
রাজধানীর কারওয়ান বাজার র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে শনিবার দুপুরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার সময়সীমা জানতে চাওয়া হলে র্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘আমরা যখন প্রতিবেদন আদালতে দিচ্ছি তখন আদালত সিদ্ধান্ত নিচ্ছে যে মামলার রায় ঘোষণার জন্য আমাদের দেয়া তথ্য-উপাপ্ত স্বয়ংসম্পূর্ণ কিনা। আরও তদন্তের প্রয়োজন রয়েছে কি না, তার পরিপ্রেক্ষিতে আদালত আমাদের সময় দিচ্ছে।’
এ সময় তিনি জানান, বিষয়টির কোনো নির্দিষ্ট সময়সীমা বলা সম্ভব নয়।
আদালত র্যাবের তদন্তে সন্তুষ্ট কি না, জানতে চাওয়া হলে র্যাবের এই মুখপাত্র বলেন, ‘আরো পুঙ্খানুপুঙ্খ, ন্যারো ডাউন করার স্কোপ রয়েছে বলে আদালত আমাদের সময় দিচ্ছে।’
৯৩ বার পেছানো সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্তের অগ্রগতি হচ্ছে জানিয়ে খন্দকার মঈন বলেন, ‘তদন্তের অগ্রগতি রয়েছে। যখনই মামলার তারিখ থাকে, তদন্তকারী সংস্থা হিসেবে আদালতে কিছু প্রতিবেদন দিতে হয়। তদন্তের অগ্রগতি সেই প্রতিবেদন আমরা আদালতে জমা দিয়েছি।’
তদন্ত প্রতিবেদনের বিষয়ে মঈন বলেন, ‘আমাদের তদন্তের প্রেক্ষাপট হচ্ছে, একজন নিরপরাধ ব্যক্তি যেন ভিকটিমাইজ না হয়। সঠিক তদন্তের জন্যই মূলত বিভিন্ন সময় আদালত থেকে যে সময় দেয়া হচ্ছে সে সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘যারা প্রকৃত আসামি, যারা এর সঙ্গে সরাসরি জড়িত তাদের খুঁজে বের করার জন্য আদালতে বিষয়গুলো সাবমিট করছি। আদালত মনে করছে এখানে আরও তথ্য পাওয়ার অবকাশ রয়েছে। এখানে আরও তদন্তের অবকাশ রয়েছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে আদালত আমাদের সময় দিচ্ছে।’
২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি নিজ বাসভবনে হত্যা করা হয় সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনিকে। এ ঘটনার পর মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় তদন্ত শেষ করার আশ্বাস দিয়েছিলেন তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন। তবে ১০ বছরের বেশি সময়ে ৯৩ বার পিছিয়েছে আলোচিত এই ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার সময়সীমা।