ফরিদপুর-২ আসনের উপনির্বাচনে শান্তিপূর্ণ ভোট হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে শনিবার নির্বাচন ভবনে সিসি ক্যামেরা পযবেক্ষণ কেন্দ্রে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি এ কথা জানান।
এ সময় সিইসি আরও জানান, গাইবন্ধার নির্বাচন নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে আরও সপ্তাহখানেক সময় লাগতে পারে।
এদিন সকাল ৮টা থেকে ফরিদপুর-২ আসনের উপনির্বাচন চলছে। ভোট চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। ইভিএমে ভোট হচ্ছে। স্থানীয়ভাবে পর্যবেক্ষণের পাশাপাশি এ আসনের সব কেন্দ্র ও ভোটকক্ষ মিলিয়ে ১ হাজার ৫২টি সিসি ক্যামেরায় ভোট দেখছেন সিইসি ও অন্য নির্বাচন কমিশনাররা।
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘যেটা আমাদের প্রত্যাশা ছিল, সিসি ক্যামেরায় দেখলাম শান্তিপূর্ণ হচ্ছে। সিসি ক্যামেরায় একটা ইতিবাচক দিক রয়েছে। সিসি ক্যামেরায় ভোট করা নতুন একটি সংযোজন। যেটা নিয়ন্ত্রণ ও ইলেকটোরাল গভর্ন্যান্সকে আরও বিস্তৃত করবে।’
গাইবান্ধা ভোটের অনিয়ম প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সিইসি জানান, তদন্ত প্রতিবেদন পুরো করে গাইবান্ধা উপনির্বাচনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে আরও ৭-১০ দিন সময় লাগবে।
তিনি জানান, ৫১টি কেন্দ্রের তদন্ত প্রতিবেদন তারা পেয়েছেন; বাকি ৯৪টি কেন্দ্রের তদন্ত প্রতিবেদনও এক সপ্তাহের মধ্যে করতে বলা হয়েছে আগের কমিটিকে।
হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘তদন্ত প্রতিবেদন আমাদের হাতে এসেছে। কমিশন সভা নিয়ে ব্যস্ততা ছিল। শনিবার বসে আমরা রিপোর্টগুলো দেখেছি। প্রতিবেদনের বিষয়ে মন্তব্য করছি না।’
বাকি ৯৪টি ভোটকেন্দ্রের পরিস্থিতিও তদন্ত কমিটি পযবেক্ষণ করে প্রতিবেদন দেবে বলে উল্লেখ করেন কাজী হাবিবুল আউয়াল।
সিইসি বলেন, ‘আমাদের তদন্ত কমিটি সিসি টিভি যে ফুটেজ রয়েছে তা দেখে একটা পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদন আমাদের কাছে দেবে; এ জন্য এক সপ্তাহ সময় দেয়া হয়েছে। আগের কমিটি সাত দিনের মধ্যে রিপোর্ট দিলে টোটাল গাইবান্ধার ওপরে সমন্বিত সিদ্ধান্ত নিতে পারব।’
শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়র আশ্বাস দিয়ে সিইসি বলেন, ‘একটু অপেক্ষা করেন। ৭-১০ দিন সময় লাগবে। খণ্ডিত প্রতিবেদন পেয়েছি, পুরোটার তদন্ত প্রতিবেদন দরকার।’গাইবান্ধার ৫১টি কেন্দ্রের অনিয়মের তদন্ত প্রতিবেদন ইসির হাতে। বাকি ৯৪ কেন্দ্রেরও সিসি ক্যামেরা দেখে পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদন দিতে বলেছে কমিশন।
নাগরকান্দা, সালথা ও সদরপুর উপজেলা নিয়ে গঠিত ফরিদপুর-২ আসন। প্রয়াত সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর মৃত্যুতে গত ১১ সেপ্টেম্বর সংসদীয় এ আসনটি শূন্য ঘোষণা করা হয়।
১২ অক্টোবর ছিল গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচন। তবে ভোটকেন্দ্রে নানা অনিয়ম ও জালিয়াতির অভিযোগে ওই দিন নির্বাচন বন্ধ করে দেয় নির্বাচন কমিশন।