বরিশালে বিভাগীয় গণসমাবেশে যোগ দেয়ার পথে গৌরনদীতে বিএনপির নেতা ইশরাকের গাড়িবহরে হামলার পর একই স্থানে দলটির আরও তিন নেতা হামলা ও বাধার শিকার হয়েছেন।
সকাল ৮টায় দলের কেন্দ্রীয় কমিটির বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার রিয়াজুল ইসলাম রিজু এবং সহসম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আশরাফ উদ্দিন বকুলের গাড়িবহরে হামলা ও বাধার ঘটনা ঘটেছে। পাশাপাশি ছাত্রদলের সাবেক কেন্দ্রীয় নেত্রী সেলিনা সুলতানা নিশিতাকে বহনকারী গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।
এতে গাড়িবহরে থাকা বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। এ সময় রাজধানীতে ফিরে আসতে বাধ্য হন অনেকে।
ঘটনাস্থল থেকে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সদস্য জাহিদুল ইসলাম রনি এ তথ্য জানান।
শনিবার সকাল ৮টার দিকে গৌরনদীর মাহিলাড়া বাজারের কাছে এই হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, ইঞ্জিনিয়ার রিয়াজুল ইসলাম রিজু ও ইঞ্জিনিয়ার আশরাফ উদ্দিন বকুলের গাড়িতে ছিলেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সদস্য জাহিদুল ইসলাম রনি।
এই হামলা ও বাধার সময় ইঞ্জিনিয়ার রিয়াজুল ইসলাম রিজুসহ নেতারা তাদের পেশাগত পরিচয়পত্র দেখানোর পরও দুর্বৃত্তরা অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে তাদের মারতে উদ্যত হন। একপর্যায়ে তারা গাড়িবহর ঘুরিয়ে দেন।
এ ছাড়া ইঞ্জিনিয়ার্স পেন-এর সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার শামীম রাব্বি সঞ্চয়ের বহনকারী গাড়িতেও হামলা করে দুর্বৃত্তরা।
এদিকে, ছাত্রদলের সাবেক কেন্দ্রীয় নেত্রী রওনক জাহান শাহীন, কোহিনুর ফারজানা আরজুর বহনকারী গাড়িতে দেশীয় ধারালো অস্ত্র ও লোহার রড দিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করে স্থানীয় দুর্বৃত্তরা। এ সময় গাড়িতে থাকা তিনজনই আহত হন। পাশাপাশি অকথ্য ভাষায় তাদের গালিগালাজ করে হামলাকারীরা। একপর্যায়ে কোনো রকমে গাড়ি ঢাকা অভিমুখে ঘুরিয়ে প্রাণে বেঁচে যান ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় এই তিন নেত্রী।
এর আগে শনিবার ভোরে বরিশালের কাছাকাছি গৌরনদীর মাহিরা বাজারে পৌঁছালে হামলার শিকার হয় বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেন ও তার গাড়িবহর। এতে বিএনপির নেতা ইশরাক হোসেন অক্ষত থাকলেও ভাঙচুর করা হয় তার পেছনে থাকা তারই বহরের বেশ কয়েকটি গাড়ি। এ সময়, সেসব গাড়িতে থাকা বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন।
মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাতকেও সমাবেশস্থলে যেতে দেয়া হয়নি। গৌরনদী থেকে তার গাড়ি ঢাকার দিকে ঘুরিয়ে দেয়া হয়েছে।