মঞ্চে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের জন্য নির্ধারিত চেয়ার ফাঁকা রেখে বরিশালের বঙ্গবন্ধু উদ্যানে বিভাগীয় সমাবেশ শুরু করেছে বিএনপি।
শনিবার বেলা ১১টার দিকে কোরআন তিলাওয়াত, দোয়া মোনাজাত ও জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে এই সমাবেশ শুরু হয়। এ সময় বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান, চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের জন্য দোয়া করা হয়।
এর পরপরই স্থানীয় নেতারা বক্তব্য দিতে শুরু করেন। বক্তব্যের শুরুতে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান বলেন, ‘আমরা আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করব এবং তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনব। আমাদের এই আন্দোলন গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন।’
তিনি আরও বলেন, ‘ঢাকার মেয়র মামাতো ভাই সমাবেশ নিয়ে ভয় দেখিয়েছিলেন। তিনি কোথায়?’
দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে মঞ্চে উঠেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। স্থানীয় নেতাদের পর বেলা ২টায় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা সবাবেশে বক্তব্য দেবেন।
এই সমাবেশ ঘিরে দুই-একদিন আগে থেকেই বরিশালে ঢুকতে শুরু করেন সারা দেশের নেতা-কর্মীরা। বুধবার থেকে আসতে শুরু করেন তারা। এই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার রাতে সমাবেশস্থল বঙ্গবন্ধু উদ্যানে খোলা আকাশের নিচে রাত কাটিয়েছেন বিএনপির হাজারও নেতা-কর্মী।
বরিশালে বিএনপির বিভাগীয় এই গণসমাবেশের আগেই নানা কারণ দেখিয়ে জেলায় গণপরিবহনগুলো বন্ধ হয়ে গেছে শুক্রবার থেকে। তবে নেতা-কর্মীরা সমাবেশস্থলে আসতে শুরু করেন নানান কৌশলে।
নেতা-কর্মীরা জানিয়েছেন, বুধবার থেকেই এই উদ্যানে রাত যাপন করেছেন বিভাগের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা নেতা-কর্মীরা। শুক্রবার দুপুরে জুমার নামাজ এখানেই আদায় করেছেন তারা। রাতও কাটিয়েছেন এখানে।
মূলত শুক্রবার রাত ৮টার পর থেকে সমাবেশস্থলে ঢল নামতে থাকে; মিছিল নিয়ে নেতা-কর্মীরা সেখানে আসতে থাকেন। এর আগে বিকেলে বরিশাল পৌঁছান বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ কেন্দ্রীয় নেতারা।
কেন্দ্রীয় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল বলেন, ‘হাজার হাজার নেতা-কর্মী সমাবেশস্থলে অবস্থান নিয়েছে। সরকারের কোনো বাধাই কাজে আসেনি। সাধারণ মানুষ ও নেতা-কর্মীরা নৌপথে কেউ ট্রলারে, কেউ মাছ ধরা নৌকায় আর সড়ক পথে, কেউ হেঁটে, আবার কেউ ভ্যান, রিকশা, মোটরসাইকেলে, বাইসাইকেলে করে সমাবেশস্থলে এসেছেন।’
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের সিদ্ধান্তে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যমূল্য বৃদ্ধি, কয়েকটি জায়গায় নেতা-কর্মীকে হত্যার অভিযোগ, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং দেশব্যাপী দলীয় নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা-মামলার প্রতিবাদে বিভাগীয় গণসমাবেশ করছে বিএনপি। বরিশালের আগে সমাবেশ হয়েছে চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, খুলনা ও রংপুরে।