সিলেটের পাথর কোয়ারিগুলো থেকে ছয় বছর ধরে বন্ধ রয়েছে পাথর উত্তোলন। পরিবেশ ধ্বংস ও ব্যাপক প্রাণহানির কারণে ২০১৬ সালে কোয়ারি থেকে পাথর উত্তোলন নিষিদ্ধ করে খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়। তবে কোয়ারি বন্ধ থাকায় কয়েক লাখ লোক বেকার হয়ে পড়েছেন দাবি করে আবার পাথর উত্তোলনের দাবি জানিয়ে আসছেন ব্যবসায়ীরা।
এমন দাবিতে আন্দোলনেও মাঠে নেমেছেন তারা। পাথর ব্যবসায়ীদের আন্দোলনে শরিক হয়েছে পরিবহন ব্যবসীয়ারাও। সম্প্রতি পাথর উত্তোলন শুরুর দাবিতে দুই ধর্মঘট পালন করেন পণ্য পরিবহন মালিক শ্রমিকরা। তাদের দাবি, পাথর উত্তোলন বন্ধ থাকায় বেকার হয়ে পড়েছেন এর সঙ্গে যুক্ত কয়েক লাখ লোক।
সিলেটের পাথর কোয়ারিগুলো পর্যটন এলাকা হিসেবেও পরিচিত। পাথর উত্তোলন বন্ধ থাকায় এসব এলাকায় পরিবেশ আবার ফিরতে শুরু করেছে এবং পর্যটক সমাগম বাড়ছে বলে দাবি পরিবেশ ও পর্যটন সংশ্লিষ্টদের। প্রাণ ও প্রকৃতি রক্ষায় পাথর উত্তোলনে অনুমিত না দেয়ার আহ্বান তাদের
এ অবস্থায় গত বুধবার সিলেট এসেছে খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের একটি উচ্চতর প্রতিনিধি দল। জানা গেছে, বৃহস্পতিবার থেকে তারা কোয়ারি এলাকাগুলো সরেজমিনে পরিদর্শন করে জরিপ করেন। সেই জরিপের প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পর মন্ত্রণালয় থেকে পাথর উত্তোলনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
হুমকিতে প্রাণ-প্রকৃতি
দেশের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলং। জাফলং দিয়ে বয়ে যাওয়া পিয়াইন নদী পাথর কোয়ারি হিসেবেও পরিচিত। নদী থেকে অপরিকিল্পিত ও যান্ত্রিকভাবে পাথর উত্তোলনের ফলে প্রকৃতিকন্যা হিসেবে পরিচিত জাফলং হারিয়েছে সৌন্দর্য। পরিণত হয়েছে ধ্বংসস্তুপে।
ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করতে ২০১২ সালে জাফলংয়ের পিয়াইন নদীসহ ১৫ কিলোমিটার এলাকাকে পরিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা (ইসিএ) ঘোষণা করা হয়। ২০১৫ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত এ-সংক্রান্ত গেজেটে বলা হয়, ‘অপরিকল্পিতভাবে যেখানে-সেখানে পাথর উত্তোলন ও নানাবিধ কার্যকলাপের ফলে সিলেটের জাফলং-ডাউকি নদীর প্রতিবেশ ব্যবস্থা সংকটাপন্ন, যা ভবিষ্যতে আরও সংকটাপন্ন হবে বলে প্রতীয়মান হয়েছে। আরও বলা হয়, ইসিএভুক্ত এলাকায় যান্ত্রিক বা ম্যানুয়াল কিংবা অন্য কোনো পদ্ধতিতে পাথরসহ অন্য যে কোনো খনিজ সম্পদ উত্তোলন নিষিদ্ধ।’
গোয়াইনঘাটের পার্শ্ববর্তী উপজেলা কোম্পানীগঞ্জ। এ উপজেলার ১৩৭ দশমিক ৫০ একর আয়তনের শাহ আরেফিন টিলার নিচে ছিল বড় বড় পাথরখণ্ড। এসব পাথর উত্তোলন করতে ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে সরকারি খাস খতিয়ানের বিশাল এই টিলার পুরাটাই। লালচে, বাদামি ও আঁঠালো মাটির এই টিলার পুরোটা খুঁড়ে তৈরি করা হয়েছে অসংখ্য গর্তের। গহীন একেকটা গর্ত। এখন ওই এলাকায় গেলে টিলার তো অস্তিত্ব পাওয়াই যায় না, উল্টো মনে হয় অসংখ্য পুকুর খুঁড়ে রেখেছে কেউ।
কেবল জাফলং আর শাহ আরেফিনা টিলা নয়, এমন চিত্র সিলেটের প্রায় সবগুলো পাথর কোয়ারি এলাকার। কেবল প্রকৃতি ধ্বংস নয়, ঝুঁকির্পূণভাবে পাথর তুলতে গিয়ে প্রাণহানিও ঘটেছে অসংখ্য। বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) হিসেব মতে, বেপরোয়া পাথর উত্তোলনে সিলেটে ২০০৫ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ১০৬ জন শ্রমিক নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন ৩৫ জন। এর মধ্যে শুধু শাহ আরেফিন টিলা থেকে পাথর তুলতে গিয়েই মাটিচাপায় মারা গেছেন অর্ধশতাধিক শ্রমিক।
পাথর উত্তোলনে নিষেধাজ্ঞা
সিলেটের কোয়ারিগুলো থেকে পাথর উত্তোলনে ব্যবহার করা হতো বিশাল একেকটি যন্ত্রের। বোমা মেশিন নামে পরিচিত এসব যন্ত্র মাটির অনেক গভীর থেকে পাথর তুলে আনত। ফলে যেসব এলাকায় এসব মেশিন দিয়ে পাথর তোলা হয়, সেসব স্থানে তৈরি হয় বড় বড় গর্তের। ভাঙন দেখা দেয় কোয়ারি তীরবর্তী এলাকায়। এতে বিপন্ন হয়ে পড়ে এসব এলাকার পরিবেশ। প্রাণ, পরিবেশ ও পর্যটন শিল্প রক্ষায় অপরিকল্পিতভাবে পাথর উত্তোলন বন্ধের দাবি জানানো হচ্ছিল দীর্ঘদিন ধরে।
এমন দাবি জানিয়ে উচ্চ আদালতে একটি রিট আবেদন করে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা)। তাদের রিটের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৪ সালে সিলেটের পাথর কোয়ারিগুলোতে যন্ত্রের ব্যবহার নিষিদ্ধ করে উচ্চ আদালত। আদালতের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও বন্ধ হচ্ছিল না বোমা মেশিন দিয়ে পাথর উত্তোলন। এ অবস্থায় ২০১৬ সালের ১ সেপ্টেম্বর প্রাণহানি ও পরিবেশের বিপর্যয় ঠেকাতে সিলেটের জাফলং, ভোলাগঞ্জ, শাহ আরেফিন টিলা, বিছনাকান্দি ও লোভছড়া- এই পাঁচ কোয়ারি থেকে পাথর উত্তোলন নিষিদ্ধ করে খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়। আর ২০২০ সালের ৮ জুন খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে সরকারিভাবে তালিকাভুক্ত সিলেটের আটটি পাথর কোয়ারির ইজারা স্থগিত করে এবং পাথর উত্তোলন বন্ধ করা হয়।
পাথর উত্তোলনের দাবিতে আন্দোলন
উত্তোলন নিষিদ্ধ হওয়ার পর থেকেই কোয়ারিগুলো চালু করার দাবি জানিয়ে আসছেন পাথর ব্যবসায়ীরা। এ দাবিতে আন্দোলনেও নেমেছেন তারা। ব্যবসায়ীদের আন্দোলনে শরিক হয়েছেন শ্রমিকরাও। পাথর ব্যবসায়ী-শ্রমিকদের আন্দোলনেও কাজ না হওয়ায় এবার এই দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন পণ্য পরিবহন ব্যবসায়ীরা। পাথর উত্তোলনের দাবিতে গত সোম ও মঙ্গলবার সিলেট বিভাগীয় ট্রাক, পিকআপ, কাভার্ড ভ্যান মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের ডাকে সিলেটে পণ্য পরিবহন ধর্মঘট পালন করা হয়।
এ প্রসঙ্গে সিলেট বিভাগীয় ট্রাক-পিকআপ-কাভার্ডভ্যান মালিক ঐক্য পরিষদ ও সিলেট জেলা ট্রাক মালিক গ্রুপের সভাপতি গোলাম হাদী ছয়ফুল বলেন, ‘সিলেটে কোনো শিল্পকারখানা নেই। এখানকার ট্রাক কেবল পাথর পরিবহনেই ব্যবহৃত হয়। পাথর উত্তোলন বন্ধ হওয়ায় ট্রাক মালিক ও শ্রমিকরা চরম বিপাকে পড়েছেন।’
তিনি বলেন, ‘সিলেটের ট্রাক মালিকদের প্রায় ৫০০ কোটি টাকা ব্যংক ঋণ রয়েছে। ট্রাক ভাড়া দিয়ে আয় করেই তারা ঋণের কিস্তি পরিশোধ করেন। এখন পাথর পরিবহন বন্ধ হওয়ায় মালিকরা ঋণের কিস্তিও পরিশোধ করতে পারছেন না। আর পরিবহন খাতের লক্ষাধিক শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েছেন। পাথর উত্তোলন বন্ধ থাকায় জাফলং ও ভোলাগঞ্জ সড়কে বাস ও অটোরিকশার যাত্রীও কমে গেছে। ফলে তারাও সংকটে পড়েছেন। সবার স্বার্থ বিবেচনায়ই আমরা পাথর উত্তোলনের দাবি জানিয়েছি।’
এর আগে গত ৮ অক্টোবর পাথর উত্তোলনের দাবিতে জাফলংয়ে বিশাল শোডাউন করেন পাথর শ্রমিক ও ব্যবসায়ীরা। ওইদিন পাথর উত্তোলনের দাবিতে গোয়াইনঘাট শ্রমিক, ব্যবসায়ী ও সামাজিক সংগঠন ঐক্য পরিষদের ডাকে স্থানীয় মামার বাজার পয়েন্টে মানববন্ধন ও সমাবেশে সহস্রাধিক লোক অংশ নেন। সরকারি দলের নেতারাও এই সমাবেশের সঙ্গে একাত্মতা জানান।
এই সমাবেশ থেকে পাথর কোয়ারির ইসিএ বহির্ভূত এলাকায় পরিবেশ সম্মত ও সনাতন পদ্ধতিতে পাথর উত্তোলনের সুযোগ দেয়ার দাবি জানানো হয়।
নিজেদের দাবির প্রসঙ্গে পিয়াইন পাথর ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আব্দুল মালিক বলেন, ‘পাথর উত্তোলন বন্ধ থাকায় এই এলাকার মানুষেরা মানবেতর জীবন কাটাচ্ছে। লক্ষাধিক শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েছে। তাদের সবার কথা বিবেচনা করে পাথর উত্তোলনের অনুমতি দেয়া দরকার।’
সিলেট পাথর সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক আব্দুল জলিল বলেন, ‘প্রতি বছরই বর্ষা মৌসুমে ঢলের সাথে অনেক পাথর ভেসে আসে। এই পাথরগুলো না তোলার কারণে সীমান্তবর্তী নদীগুলো ভরাট হয়ে যাচ্ছে। ফলে সিলেটে ঘনঘন বন্যা দেখা দিচ্ছে।’
যন্ত্রের ব্যবহার না করে ও পরিবেশ সুরক্ষিত রেখেই পাথর উত্তোলনের অনুমতি দেওয়া প্রয়োজন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এখন কোয়ারিগুলো বন্ধ থাকায় বিদেশ থেকে পাথর আমদানি করতে হচ্ছে। এতে এই সঙ্কটকালেও রিজার্ভের উপর চাপ পড়ছে।’
‘চাপের মুখে’ পাথর উত্তোলনের অনুমতি না দেয়ার আহ্বান
তবে এমন আন্দোলন সত্ত্বেও পাথর উত্তোলনের অনুমতি না দেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন সিলেটের ২০ নাগরিক। পরিবেশের সুরক্ষার জন্য সিলেটের কোয়ারিগুলো বন্ধ রাখার দাবি জানিয়েছেন তারা। গত ৩০ অক্টোবর গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এমন দাবি জানানো হয়।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বেলা) সিলেটের সমন্বয়ক শাহ শাহেদা আক্তার প্রেরিত এই বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, ২০০৫ সাল থেকে যান্ত্রিকভাবে পাথর উত্তোলনের ফলে সিলেটের পিয়াইন ও ডাউকি নদী তাদের সৌন্দর্য্য হারিয়েছে, ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পর্যটনশিল্প। বিধ্বংসী পাথর উত্তোলনের ফলে পিয়াইন ও ডাউকি নদীতে বিভিন্ন স্থানে পানি ঘোলা হয়ে যায় এবং নদীর বুকে বালুর স্তুপ ও ট্রাকের মিছিল নিয়মিত হয়ে পড়ে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, পাথর উত্তোলন বন্ধ থাকায় পিয়াইন ও ডাউকি নদীসহ পাথর মহাল হিসেবে পূর্বে ঘোষিত নদী ও ছড়ায় প্রাণ ও প্রকৃতি ফিরতে শুরু করেছে। পর্যটকের সংখ্যাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তু পাথর উত্তোলনকারীরা নিজেদের বাণিজ্যিক স্বার্থে পরিবেশগতভাবে সংকটাপন্ন ঘোষিত পিয়াইন ও ডাউকি, ধলাই নদীসহ সিলেটের অন্যান্য স্থানে পাথর উত্তোলনের অনুমতি প্রদানে সরকারের উপর অনৈতিক চাপ সৃষ্টি করছে।
বিবৃতিদাতারা বলেন, পরিবেশ রক্ষা যেহেতু সরকারের সাংবিধানিক অধিকার, তাই আগামী প্রজন্মের স্বার্থে পিয়াইন, ডাউকি, ধলাই, রাংপানি নদী, বিছানাকান্দি, উৎমাছড়া, লোভাছড়া ও ভোলাগঞ্জ পাথর উত্তোলনকারীদের হাত থেকে রক্ষা করে সুরক্ষিত রাখতে হবে। অবৈধ চাপের মুখে নতি স্বীকার না করে আগামী প্রজন্মের জন্য পরিবেশ সুরক্ষা করতে হবে।
এদিকে, একই দাবিতে গত মঙ্গলবার সিলেটে সংবাদ সম্মেলন করে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা)।
পাথর উত্তোলনের শুরুর দাবিতে আন্দোলন প্রসঙ্গে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) সিলেটের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল করিম বলেন, ‘পাথর উত্তোলনে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও পাথর আমদানিতে তো নিষেধাজ্ঞা নেই। তাছাড়া যখন নিষেধাজ্ঞা ছিল না, তখনও সিলেটের কোয়ারিগুলো থেকে সামান্য পরিমাণ পাথরই উত্তোলন হতো। বেশিরভাগই ভারত থেকে আমদানি করা হতো। আমদানি যেহেতু অব্যাহত রয়েছে, তাই পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের কোনো সমস্যা হওয়ার কথা নয়।’
তিনি বলেন, ‘অনুমতি পেলেই পাথরখেকো গোষ্ঠি ম্যানুয়েলি পাথর তুলবে না। বোমা মেশিন দিয়ে পাথর তোলা শুরু করবে। এখন নিষেধাজ্ঞা থাকা অবস্থায়ও অনেক জায়গায় বোমা মেশিন দিয়ে পাথর উত্তোলন করার অভিযোগ রয়েছে। তাই কোনো অবস্থাতেই আর পাথর উত্তোলনের অনুমতি দেওয়া যাবে না।’
যা বলছে প্রশাসন
পাথর উত্তোলনের দাবি প্রসঙ্গে সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান বলেন, ‘পরিবেশ ও পর্যটনের সার্থে সরকার পাথর উত্তোলন বন্ধ করেছে। এখন পাথর তোলার দাবি মেনে নেওয়ার সুযোগ নেই। তাদের দাবির প্রেক্ষিতে খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের একটি উচ্চপর্যায়ের দল গঠন করেছে। তারা সিলেটে এসেছেন।’
জেলা প্রশাসক বলেন, ‘এই দল সবগুলো কোয়ারির বর্তমান অবস্থা পর্যবেক্ষণ ও জরিপ করে প্রতিবেদন প্রদান করবেন। তাদের প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে মন্ত্রণালয় পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নেবে।’
পরিবেশের সার্থে পাথর উত্তোলন শুরুর অনুমতি দেওয়া হবে না জানিয়ে সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘পরিবেশের কথা আমাদের সবার আগে বিবেচনা করতে হবে। তাই আমি পাথর উত্তোলন শুরুর পক্ষে নই।’
তিনি বলেন, ‘এখন সারা বিশ্বেই পর্যটন একটি সম্ভাবনাময় ক্ষেত্র। বাংলাদেশেও পর্যটনখাতে প্রচুর সম্ভবনা আছে। পাথর উত্তোলন বন্ধ থাকায় যেসব শ্রমিকরা বেকার হরে পড়েছেন, তাদের পর্যটনখাতে নিয়ে আসার চেষ্টা করছি। অনেককে এ ব্যাপারে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। শ্রমিক-ব্যবসায়ীসহ স্থানীয়দেরকেও এ ব্যাপারে আন্তরিক হতে হবে।’