মাদারীপুরে সদরে হামলায় আহত এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে সদর হাসপাতালে। তিন দিন সেখানে চিকিৎসা নেয়ার পর শুক্রবার দুপুরে মারা যান আজম মাতুব্বর। তার স্ত্রীর অভিযোগ, আজমের উপর হামলাকারী তার সাবেক স্বামী। আজমকে ওই ব্যক্তি হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করেছিলেন।
নিহত আজমের বাড়ি সদর উপজেলার মোস্তফাপুর ইউনিয়নে। তিনি মোস্তফাপুর বাজারে মোবাইল ফোন মেকানিকের কাজ করতেন। স্ত্রী লিমা আক্তারের সঙ্গে তার পরিচয় মোবাইল ফোনের মাধ্যমেই হয়। সে সময় লিমা বিবাহিত ছিলেন। পরে ওই সংসার ছেড়ে আসলে লিমার সঙ্গে আজমের বিয়ে হয়।
মাদারীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনোয়ার হোসেন চৌধুরী এসব জানিয়েছেন।
আজমের পরিবার, স্থানীয় লোকজন ও লিমার বরাত দিয়ে ওসি জানান, লিমার আগের স্বামী ওবাইদুল হাওলাদার বিয়ের পাঁচ বছর পর সৌদি আরব চলে যান। তাদের সংসারে ছিল দুই মেয়ে। স্বামীর অবর্তমানে মোবাইল ফোনে আজমের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে লিমার। বছর দেড়ের পর ওবাইদুলকে তালাক দিয়ে আজমকে বিয়ে করে চলে যান তিনি।
লিমার অভিযোগ, কিছু দিন আগে সৌদি আরব থেকে একবারে দেশে চলে আসেন ওবায়দুল। গেল মঙ্গলবার রাতে মোস্তফাপুর পল্লী বিদ্যুৎ মসজিদের সামনে আজমের ওপর হামলা চালান তিনি ও তার সঙ্গে থাকা ৮ থেকে ১০ জন লোক। তারা আজমকে হাতুড়িপেটা করেন। চিৎকারে আশপাশের লোকজন জড়ো হতে থাকলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় আজমকে হাসপাতালে নেয়া হয়।
লিমা বলেন, ‘আমার স্বামীকে হাতুড়িপেটা করে মেরে ফেলা হয়েছে। ওবায়দুলের সঙ্গে আমার অনেক আগেই ছাড়াছাড়ি হয়েছে। তারপরেও সে আমার বর্তমান স্বামীকে হত্যা করেছে। আমি ওবায়দুলসহ তাদের সহযোগীদের বিচার চাই।’
ওসি জানান, আজমের ওপর হামলাকারী সন্দেহে একজনকে আটক করা হয়েছে। নিহতের পরিবার মামলা করলে ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার দেখানো হবে ও অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের করা হবে।