বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

নতুন জঙ্গি সংগঠনে ভিড়ছে নারীরাও

  •    
  • ৪ নভেম্বর, ২০২২ ১৮:১৬

অন্তত ৬ জন নারী জঙ্গির ব্যাপারে তথ্য পেয়েছে র‌্যাব। মোট কতজন নারী সদস্য জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার সঙ্গে যুক্ত রয়েছে এর সঠিক সংখ্যা এখনো জানাতে পারেনি বাহিনীটি।

নতুন জঙ্গি সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার শীর্ষ পর্যায়ের নেতাসহ ৩২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। অভিযান শুরুর প্রায় এক মাসের মাথায় এই জঙ্গি সংগঠনে নারীদের সম্পৃক্ত হওয়ার তথ্য পেয়েছে র‌্যাব।

সংগঠনে নতুন সদস্য সংগ্রহ, অর্থ যোগান এবং হিজরত বা পাহাড়ে যেসব পুরুষ জঙ্গি রয়েছে তাদের পরিবারকে সহযোগিতার কাজ করছে এই নারী জঙ্গিরা।

অন্তত ৬ জন নারী জঙ্গির ব্যাপারে তথ্য পেয়েছে র‌্যাব। মোট কতজন নারী সদস্য জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার সঙ্গে যুক্ত রয়েছে এর সঠিক সংখ্যা এখনো জানাতে পারেনি বাহিনীটি।

তবে এই সংখ্যাটা আরও বাড়বে বলে জানিয়েছেন র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা ৫-৬ জনের তথ্য পেয়েছি। এটা বাড়তে পারে। দাওয়াতী শাখা, অর্থ দেয়া, সংগঠনের যে সব সদস্য পাহাড়ে আছে তাদের পরিবারের খোঁজ-খবর নেয়ার কাজ করছে তারা। তবে সামরিক শাখায় এ জঙ্গিদের অংশগ্রহণ পাওয়া যায়নি।’

গত বৃহস্পতিবার কুমিল্লার লাকসামে আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় গ্রেপ্তার হয়েছেন সংগঠনটির অর্থ বিষয়ক প্রধান সমন্বয়ক মুনতাছির আহম্মেদ ওরফে বাচ্চু, সারাদেশে হিযরতরত সদস্যদের সার্বিক সমন্বয়ক আব্দুল কাদের ওরফে সুজন ওরফে ফয়েজ ওরফে সোহেল ও ইসমাইল হোসেন ওরফে হানজালা ওরফে মানসুর। আর সামরিক শাখার তৃতীয় সর্বোচ্চ ব্যক্তি হেলাল আহমেদ জাকারিয়া।

তাদের জিজ্ঞাসাবাদে সংগঠনের নারীদের সম্পৃক্ত হওয়ার তথ্য পেয়েছে র‌্যাব।

গ্রেপ্তার চারজন বিষয়ে খন্দকার মঈন জানান, তারা ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’ এর দাওয়াতী, সশস্ত্র প্রশিক্ষণ, হিজরত করা সদস্যদের তত্ত্বাবধানসহ সাংগঠনিক কার্যক্রমে যুক্ত ছিল। তারা ২-৪ বছর আগে নিকটাত্মীয়, বন্ধু, স্থানীয় পরিচিত ব্যক্তির মাধ্যমে উগ্রবাদে অনুপ্রানিত হয়ে সংগঠনে যুক্ত হয়। এই চারজন তাত্ত্বিক, শারীরিক সশস্ত্র প্রশিক্ষণসহ অন্যান্য বিষয়ক প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছে।

র‌্যাব জানায়, দেশব্যাপী ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া’ -এর কার্যক্রমে জড়িত সদস্যদের বিরুদ্ধে র‌্যাবসহ অন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানের কারণে জঙ্গিরা সংগঠনের নেতৃত্বস্থানীয়দের পরামর্শে কুমিল্লার লাকসাম এলাকায় আত্মগোপনে ছিলেন।

এ অবস্থায় তারা বিভিন্ন মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে তাদের সদস্য ও সহানুভূতিশীলদের থেকে অর্থ সংগ্রহ করতেন। সাংগঠনিক প্রয়োজনে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে অর্থ পাঠাতেন। এ ছাড়াও তারা পাহাড়ে প্রশিক্ষণে থাকা সদস্যদের পরিবারের কাছে প্রয়োজন অনুযায়ী আর্থিক সহযোগিতাসহ অন্য সহযোগিতা দিতেন।

আমির বাড়ি করে পরিবারসহ থাকতেন নাইক্ষ্যংছড়িতে

গ্রেপ্তার চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদে সংগঠনটির আমীরসহ অন্য শূরা সদস্যদের অবস্থান সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছে র‌্যাব।

বাহিনীটি জানিয়েছে, সংগঠনের আমীর মাহমুদ কুমিল্লা সদর দক্ষিণের একটি সিএনজি ফিলিং স্টেশনে ম্যানেজার হিসেবে চাকরি করতেন। প্রায় দুই বছর আগে চাকরি ছেড়ে নিরুদ্দেশ হয়ে যান।

পরে এক বছর আগে কুমিল্লার প্রতাপপুরে তার সেমি পাকা বাড়িসহ জমি স্থানীয় এক ব্যক্তির কাছে ১৭ লাখ টাকায় বিক্রি করেন। সেই টাকা দিয়ে বান্দবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে সাড়ে তিন বিঘা জমি কেনেন। পরিবার নিয়ে সেখানেই অবস্থান করছিলেন। নাইক্ষ্যংছড়িতে চাষাবাদ, পোল্ট্রি ফার্ম ও গবাদি পশুর খামার পরিচালনা করতেন তিনি।

তবে আমিরের বর্তমান অবস্থান নিশ্চিত করতে পারেনি র‌্যাব।

এ বিভাগের আরো খবর