বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

জনসমাবেশে অভ্যুত্থানের চিত্র দেখছেন মান্না

  •    
  • ৪ নভেম্বর, ২০২২ ১৮:০৩

মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘মানুষ যেভাবে জনসমাবেশগুলোতে অংশ নিচ্ছে তা অভ্যুত্থানের মতোই। সবকিছু বন্ধ, তারপরও মানুষ যাচ্ছে। এরা সবাই বিএনপির সমর্থক নয়। এখানে সাধারণ মানুষও আছে, যারা মনে করে জিনিসের দাম কমা দরকার।’

বিএনপির বিভাগীয় জনসমাবেশে মানুষ যেভাবে অংশ নিচ্ছে তাতে অভ্যুত্থান দেখছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। তিনি বলেছেন, ‘মানুষ যেভাবে জনসমাবেশগুলোতে অংশ নিচ্ছে তা অভ্যুত্থানের মতোই। সব কিছু বন্ধ, তারপরও মানুষ যাচ্ছে। এরা সবাই বিএনপির সমর্থক নয়। এখানে সাধারণ মানুষও আছে, যারা মনে করে জিনিসের দাম কমা দরকার।’

জাতীয় প্রেসক্লাবে শুক্রবার এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ৫০তম সংবিধান দিবস উপলক্ষে ‘সংস্কার কেন প্রয়োজন এবং কীভাবে সম্ভব’ শীর্ষক এই আলোচনার আয়োজন করে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন।

মান্না বলেন, ‘মানুষ ক্ষমতাসীনদের অত্যাচারে জর্জরিত। দ্রব্যমূল্যের আঘাতে জর্জরিত মানুষ এখন বিপরীত পক্ষে যাকে পায় তাকেই আঁকড়ে ধরার চেষ্টা করছে। কারণ তাদের তো বাঁচতে হবে।’

সংবিধানে পরিবর্তন আনা প্রয়োজন জানিয়ে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি বলেন, ‘সংবিধান পরিবর্তন করতে হলে জেনে-বুঝে ধীরে এগিয়ে যেতে হবে। এই সংবিধানে প্রধানমন্ত্রীকে জারের মতো ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। বেশিরভাগ লোকই সংবিধানের ধারা সম্পর্কে জানে না।

‘সংবিধানের ৭ ধারা থাকলে এই সরকারের বিরুদ্ধে কোথাও কিছু বলা যাবে না। মানুষের অধিকার থাকবে না। সুতরাং মানুষকে সংবিধান সম্পর্কে সহজ করে বলতে হবে, যাতে মানুষ বিশ্বাস করে যে এই সংবিধান পরিবর্তন করা দরকার।’

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ‘ক্ষমতাসীনরা এই সংবিধানকে কাগজের টুকরা মনে করে। প্রয়োজন না হলে ডাস্টবিনে ফেলে দেয়৷ আবার দরকার হলে সংবিধানের আগে পবিত্র শব্দ জুড়ে দেয়। সংবিধান নির্বাহী বিভাগের ওপর নির্ভর করছে। নির্বাহী বিভাগ সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী।’

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘গদি ধরে রাখার মাঝে আপনারা নিরাপত্তা খুঁজে পাবেন না। আপনারা নিরাপত্তা খুঁজে পাবেন গণতান্ত্রিক বন্দোবস্তের মাধ্যমে। অনান্য রাজনৈতিক দল আজ এই গণতান্ত্রিক বন্দবস্তে একমত। জনগণ আর একজনের বদলে আরেকজনকে ক্ষমতায় দেখতে চায় না। তারা নিজেদের ভাগ্যের পরিবর্তন দেখতে চায়।’

রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম বলেন, ‘নব্বই-পরবর্তী সময়ে পরিবারকেন্দ্রিক রাজনীতিকে বাংলাদেশের রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। আর এতে তরুণ প্রজন্মকে দিয়ে অপরাজনীতি করাতে সক্ষম হয়েছে। তাই আমরা সংবিধান ও রাষ্ট্র সংস্কারের কথা বলছি।’

আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডির কার্যকরী সভাপতি শহিদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন প্রমুখ।

এ বিভাগের আরো খবর