জালিয়াতি ও প্রতারণার মামলায় দৈনিক ভোরের পাতার সম্পাদক কাজী এরতেজা হাসানকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
ঢাকা মহানগর হাকিম মাহবুব আহমেদের আদালত শুনানি শেষে তার জামিন নামঞ্জুর করে এ আদেশ দেয়।
এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মেহেদী হাসান আসামিকে এক দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।
এরতেজা হাসানের পক্ষে তার আইনজীবী জামিন আবেদন করেন। বাদীপক্ষ থেকে এর বিরোধিতা করা হয়। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয়।
এরতেজা হাসানের পক্ষে তার আইনজীবী চিকিৎসার আবেদন করেন। আদালত কারাবিধি অনুযায়ী কারাকর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেয়।
১ নভেম্বর রাতে রাজধানীর গুলশানে ‘ইভা রোজ’ নামের একটি বাড়ি থেকে এরতেজাকে গ্রেপ্তার করে পিবিআই। পরে কল্যাণপুরে পিবিআই কার্যালয়ে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাকে।
পিবিআই জানিয়েছে, আশিয়ান গ্রুপের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলামের ভাই সাইফুল ইসলাম গত ১০ জানুয়ারি জালিয়াতি ও প্রতারণার একটি মামলা করেন। খিলক্ষেত থানার এ মামলায় আসামিদের মধ্যে আছেন নর্দান ইউনিভার্সিটির চেয়ারম্যান আবু ইউসুফ আব্দুল্লাহ, রিয়াজুল আলম ও সেলিম মুন্সী। তদন্তের একপর্যায়ে এরতেজার নাম আসে।
মামলায় বলা হয়, নর্দান ইউনিভার্সিটির জন্য দক্ষিণখানে আশিয়ান সিটি প্রজেক্টে ৫ বিঘা জমি কেনার জন্য একটি চুক্তি হয়। চুক্তি অনুযায়ী ৫০ কোটি টাকা দেয়ার কথা ছিল। প্রথম দফায় ৩০ কোটি টাকা দেয় নর্দান কর্তৃপক্ষ। বাকি টাকা পরিশোধ না করেই আশিয়ান গ্রুপের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলামের সই জাল করে জমির রেজিস্ট্রি করা হয়। এ সময় জমির মূল্য দেখানো হয় ৯ কোটি ৩৩ লাখ টাকা।
জালিয়াতির এ মামলায় আসামি আবু ইউসুফ আব্দুল্লাহ ও রিয়াজুল আলমকে এর আগে গ্রেপ্তার করে পিবিআই।
দৈনিক ভোরের পাতা সম্পাদনার পাশাপাশি বেশ কিছু সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত সিআইপি মর্যাদা পাওয়া এরতেজা হাসান। তিনি ভোরের পাতা গ্রুপ অফ ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারপারসন। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ফ্ল্যাঞ্চাইজি রংপুর রাইডার্সের প্রেসিডেন্ট ছিলেন তিনি।
কাজী এরতেজা ব্যবসায়ীদের সংগঠন দ্য ফেডারেশন অফ বাংলাদেশ চেম্বার্স অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) পরিচালক। তিনি ইরান-বাংলাদেশ চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি।