পারিবারিক কলহের জেরে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে এক রাতে দুই গৃহবধূকে হত্যা করা হয়েছে। একজনকে গলা কেটে ও অন্যজনকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেন তাদের স্বামীরা।
রূপগঞ্জে উপজেলার ভুলতা ইউনিয়নের আমলাব এলাকায় বৃষ্টি আক্তারকে গলা কেটে হত্যা করেন তার স্বামী ইমন গাজী। শুক্রবার মধ্যরাতে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরপরই ইমনকে আটক করে পুলিশ।
বৃষ্টি আক্তারের বাড়িতে জনতার ভিড়। ছবি: নিউজবাংলা
নিহত ২২ বছর বয়সী বৃষ্টি আক্তার নবাবগঞ্জের ভাগুলিয়া গ্রামের জনু মোল্লার মেয়ে। নিহতের স্বামী ইমন গাজী (৩০) বরিশালের ইউনুস গাজীর ছেলে। তিনি পেশায় রাজমিস্ত্রি। তারা রূপগঞ্জের আমলাব এলাকায় ভাড়া বাসা নিয়ে থাকতেন।
রূপগঞ্জ থানার ভুলতা ফাঁড়ির পুলিশ পরিদর্শক মোস্তাফিজুর রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। নিহতের প্রতিবেশীদের বরাত দিয়ে তিনি জানান, গত কয়েক দিন ধরে বৃষ্টির সঙ্গে তার স্বামীর ঝগড়া চলছিল। শুক্রবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে ঝগড়ার একপর্যায়ে স্ত্রীকে ছুরি দিয়ে আঘাত করেন ইমন। পরে তাকে গলা কেটে হত্যা করেন। ওই সময় বৃষ্টির চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে থানায় খবর দেন। পুলিশ এসে স্বামী ইমন গাজীকে আটক করে। এ ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা হবে।
এদিকে একই উপজেলার মৈকুলী এলাকায় পারিবারিক কলহের জেরে স্বামীর ছুরিকাঘাতে জান্নাতুল ফেরদৌস নামে আরেক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার পর স্বামী আবদুল্লাহ চৌধুরী পালিয়ে গিয়েছেন।
নিহত ২৩ বছর বয়সী জান্নাতুল ফেরদৌসের গ্রামের বাড়ি খুলনার খালিসপুরে। রূপগঞ্জে স্বামীর সঙ্গে ভাড়া বাসায় থাকতেন তিনি।
রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ এফ এম সায়েদ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ভোরে তাদের দুজনের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে আবদুল্লাহ ঘর থেকে বেরিয়ে প্রতিবেশীদের রুমের দরজা বাইরে থেকে বন্ধ করে ঘরে ফিরে আসেন এবং স্ত্রীকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যান। আহত অবস্থায় জান্নাতুল ফেরদৌসকে উদ্ধার করে উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। আসামি অবদুল্লাহকে আটকের জন্য অভিযান চলছে।
উপপরিদর্শক সবুজ মিয়া জানান, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পরিচয়ের মাধ্যমে জান্নাতুল ও আবদুল্লাহর বিয়ে হয়। আবদুল্লাহ আগেও একটি বিয়ে করেন এবং বিয়ের বিষয়টি স্ত্রীর কাছে গোপন রাখেন। এসব নিয়েই তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ চলছিল।