বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ব্যক্তিগত গাড়িতে গ্যাস বন্ধের প্রস্তাবে জ্বালানি প্রতিমন্ত্রীর দ্বিমত

  •    
  • ৩ নভেম্বর, ২০২২ ২১:১৩

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, ‘সবাইকে একটি বিষয় বুঝতে হবে যে সিএনজি স্টেশনও একটি শিল্প। সেখানে অনেকের অনেক বিনিয়োগ রয়েছে। এক শ্রেণীর ব্যবসায়ীকে সুবিধা দিতে গিয়ে স্টেশন বন্ধ করে দিলে তারা চলবে কিভাবে? সরকার সবার কথা চিন্তা করেই সিদ্ধান্ত নেবে।’

দেশে গ্যাস সংকটের মধ্যে ব্যক্তিগত গাড়িতে জ্বালানি হিসেবে সংকুচিত প্রাকৃতিক গ্যাস (সিএনজি) ব্যবহার বন্ধের পক্ষে বাণিজ্যমন্ত্রী নিজের অবস্থানের কথা জানালেও তাতে দ্বিমত পোষণ করেছেন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

সচিবালয়ে বৃহস্পতিবার দ্রব্যমূল্য ও বাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনা-বিষয়ক টাস্কফোর্সের চতুর্থ সভা শেষে সাংবাদিকদের বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আজকের আলোচনায় এ কথাগুলো আসছে যে পরিবহন খাতে যদি গ্যাসের ব্যবহার বাড়ানো যায় তবে জ্বালানি তেলের ওপর চাপ কমবে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নেবে। এটা আমাদের দেখার প্রয়োজন নেই।

‘তবে আমি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে একমত যে গাড়িতে গ্যাস সরবরাহে যতটা প্রাধান্য দেয়া হচ্ছে, এখন ওই গ্যাস বেসিক রিকোয়ারমেন্ট বিদ্যুৎ উৎপাদনে প্রয়োজন। যদি বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হয়ে যায় তাহলে তো কোনো সমস্যাই নেই৷ বিদ্যুতের অবস্থার উন্নতি হচ্ছে। তবে ব্যবসায়ীদের দাবির বিষয়টি আমরা তাদেরকে (জ্বালানি মন্ত্রণালয়) জানাব।’

এ বিষয়ে পরে জ্বালানি মন্ত্রণালয়ে এক ব্রিফিং শেষে প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের অবস্থান জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমাকে অনেকেই এই অনুরোধ জানিয়েছেন। কিন্তু সবাইকে একটি বিষয় বুঝতে হবে যে সিএনজি স্টেশনও একটি শিল্প। সেখানে অনেকের অনেক বিনিয়োগ রয়েছে।

‘এক শ্রেণীর ব্যবসায়ীকে সুবিধা দিতে গিয়ে স্টেশন বন্ধ করে দিলে তারা চলবে কিভাবে? আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের সরকার। সবার কথা চিন্তা করেই সরকার সিদ্ধান্ত নেবে।’

চলতি শতকের শুরুতে রাজধানীতে বায়ু দূষণ কমাতে যানবাহনে সিএনজি সরবরাহ শুরু করে সরকার। এর ফলে শহরের বায়ূদূষণ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আসে।

কিন্তু ডিজেল বা অকটেনের মতো জ্বালানির তুলনায় দামে সস্তা হওয়ায় ব্যক্তিগত গাড়িতে সিএনজির ব্যবহার বাড়তে থাকে। শুরুতে গণপরিবহনগুলোও জ্বালানি হিসেবে সিএনজি ব্যবহার করেছে। তবে বর্তমানে তা থেকে অনেকটাই কমে এসেছে।

বাস মালিক-শ্রমিক ইউনিয়নের হিসাবমতে, বর্তমানে রাজধানীতে চলাচলকারী ৮০ শতাংশ বাসই চলে জ্বালানি তেলে।

এর ফলে মূল্যবান জ্বালানি সিএনজি ভর্তুকি মূল্যে কেন ব্যক্তিগত গাড়িতে ব্যবহারের জন্য সরবরাহ করা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই সমালোচনা রয়েছে।

শিল্প মালিকরা বেশ কিছু দিন ধরেই ব্যক্তিগত গাড়িতে গ্যাস বন্ধ করে তা শিল্প উৎপাদনে সরবরাহ করার দাবি জানিয়ে আসছেন।

এ বিভাগের আরো খবর