চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে সালিশ বৈঠকে মারধরের কারণে যুবকের মৃত্যুর অভিযোগে মামলা করেছে তার পরিবার।
ওই যুবকের বাবা তিনজনকে আসামি করে ফটিকছড়ি থানায় বৃহস্পতিবার বিকেলে মামলা করেন।
ফটিকছড়ি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এস এম আরিফুর রহমান এসব নিশ্চিত করেছেন।
নিহত যুবকের নাম আবু বক্কর সিদ্দিকী বাবুল। তিনি ফটিকছড়ির ধর্মপুর এলাকার নুরুল আলমের ছেলে।
আসামিরা হলেন ওই এলাকার মো. আরাফাতুল আলম, তার বাবা মাহবুবুল আলম ও মো. মহিউদ্দিন নামে আরেকজন।
পুলিশ কর্মকর্তা আরিফুর স্থানীয় ও নিহত ব্যক্তির পরিবারের বরাতে জানান, জমি নিয়ে নুরুল আলমের সঙ্গে বিরোধ ছিল মাহবুব আলমের। এর জেরে তাদের মধ্যে একাধিকবার তর্কাতর্কি হয়। এর মীমাংসার জন্য মঙ্গলবার বিকেলে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্যের উপস্থিতিতে সালিশ হয়।
তিনি জানান, সেখানে নুরুলের ছেলে বাবুলকে মারধর করে মাহবুবের ছেলে আরাফাত। বাবুলকে সেখান থেকে নিয়ে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে বুধবার সকালে তার মৃত্যু হয়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. জাহেদুল আলম বলেন, ‘আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম বিচারক হিসেবে। এটা পারিবারিক সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের ঝামেলা ছিল। বৈঠকের একপর্যায়ে আরাফাত নুরুল আলমের ছেলে বাবুলকে কিল-ঘুষি দেয়। এতে সে আহত হলে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।’