বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বাড়াবাড়ি করলে খালেদাকে ফের জেলে পাঠাব: প্রধানমন্ত্রী

  •    
  • ৩ নভেম্বর, ২০২২ ১৯:০৬

বিএনপিকে ছাড় দেয়া হবে না উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘অবৈধ সরকার, ক্ষমতা দখলকারীর দ্বারা গঠিত অবৈধ দলগুলো আজকে খুবই লাফালাফি করে। আমরা বলেছি শান্তিপূর্ণ মিছিল-মিটিং করো, আমরা কিছুই করব না। কিন্তু ওই যে লাঠিসোঁটা নিয়ে এসে ভাবসাব দেখানো, আর যদি একটা মানুষের গায়ে হাত দেয়, আমরা ছাড়ব না।’

বিএনপি বেশি বাড়াবাড়ি করলে দণ্ডিত অপরাধী বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে আবারও জেলে পাঠিয়ে দেয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, বিএনপিকে কোনো ছাড় দেয়া হবে না।

রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বৃহস্পতিবার জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি বিএনপির উদ্দেশে এই হুঁশিয়ারি দেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়ার ১০ বছরের জেল হয়েছে। তিনি দণ্ডিত অপরাধী। তবে হ্যাঁ, তিনি অসুস্থ এবং বয়োবৃদ্ধ। তার বোন, ভাই ও বোনের জামাই আমার কাছে এসেছেন; আবেদন করেছেন।

‘আমরা সাজা স্থগিত করে তাকে বাড়িতে থাকার সুযোগটা দিয়েছি। মানবিক কারণেই দিয়েছি। কিন্তু বিএনপি যদি বেশি বাড়াবাড়ি করে তাহলে আবার তাকে জেলে পাঠিয়ে দেব।’

বিএনপিকে ছাড় দেয়া হবে না উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘অবৈধ সরকার, ক্ষমতা দখলকারীর দ্বারা গঠিত অবৈধ দলগুলো আজকে খুবই লাফালাফি করে। খুব ভালো কথা। আমরা বলেছি শান্তিপূর্ণ মিছিল-মিটিং করো, আমরা কিছুই করব না। কিন্তু ওই যে লাঠিসোঁটা নিয়ে এসে ভাবসাব দেখানো, আর যদি একটা মানুষের গায়ে হাত দেয়, আমরা ছাড়ব না।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদার জিয়ার সাজা হয়েছে। এই ট্রাস্টের নামে বিদেশিদের মোটা অঙ্কের টাকা এসেছিল। একটা টাকাও কোনো এতিম পায়নি, ওই ট্রাস্টেও কোনো টাকা যায়নি। সব টাকা তার (খালেদা জিয়া) নিজের নামের অ্যাকাউন্টে গেছে। সে কারণে তিনি ধরা খেয়েছেন এবং তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

‘এই মামলা আমরা দিইনি, তত্ত্বাবধায়ক সরকার দিয়েছে। তার প্রিয় ব্যক্তিরাই তখন ক্ষমতায় ছিল। তাদের দেয়া মামলা, আর সেই মামলায় সাজা পেয়েছেন খালেদা জিয়া।’

সরকার প্রধান বলেন, ‘১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারকে হত্যা করে খুনিরা থেমে যায়নি। তারা ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে চার নেতাকে হত্যা করেছিল। খুনি মোশতাক-জিয়াই তাদের হত্যা করে।’

‘কেন্দ্রীয় কারাগারে অস্ত্র নিয়ে ঢোকা যায় না। কিন্তু তারা অস্ত্র নিয়ে ঢুকেছিল। গণভবন থেকে সেই নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। বলা হয়েছিল, যেভাবে ঢুকতে চায় সেভাবেই যেন ঢুকতে দেয়া হয়। মিটিংয়ের কথা বলে তারা ঢুকতে চায়। কিন্তু তাদের সঙ্গে অস্ত্র ছিল। জেলার তাদের ঢুকতে না দিলে তাকেও হত্যার হুমকি দেয়া হয়।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘জিয়া এই ষড়যন্ত্রের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিল বলেই মোশতাক যখন রাষ্ট্রপতি হলো, নিজেকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা দিয়েই জিয়াউর রহমানকে বানাল সেনাপ্রধান। আর মোশতাকের পতনের সঙ্গে সঙ্গে জিয়ার হাতে সব ক্ষমতা চলে এল।’

জেল হত্যার আসামিদের জিয়াউর রহমান চাকরি দিয়ে বিদেশে পাঠানোর কথাও উল্লেখ করেন তিনি।

গণতন্ত্র উদ্ধার করতে হবে- বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় শেখ হাসিনা বলেন, ‘আজ দেখি তারা বলছে, গণতন্ত্র উদ্ধার করতে হবে। যে দলের জন্ম সেনা শাসকের পকেট থেকে, অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারীদের দ্বারা, তারা আবার গণতন্ত্র উদ্ধারটা কী করবে সেটাই আমার প্রশ্ন।

‘বিএনপির গণতন্ত্রের কথা শুনে কিছু লোক তাদের সঙ্গে তাল মেলাচ্ছে। এদের জ্ঞান-বুদ্ধি কোথায় থাকে? তারা কি বাস্তবটা বুঝতে পারে না? আর নেতৃত্ব কোথায়? বিএনপি যে লাফালাফি করছে, তাদের নেতা কই? খালেদা জিয়া ও তারেক জিয়া দুজনই তো দণ্ডিত আসামি।’

বিএনপি সরকারের আমলে নির্যাতনের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা তো এর প্রতিশোধ নিতে যাইনি। আমরা আইনগতভাবে অপরাধীদের বিচার করেছি। অপরাধ করার পর সেই অপরাধকে অন্যের ঘাড়ে চাপানোর এই ট্যাকটিসটাও তারা খুব ভালোভাবে জানে। এরা এভাবেই মানুষকে হত্যা ও তাদের ওপর অত্যাচার চালায়।

‘খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এসে অপারেশন ক্লিনহার্ট শুরু করেন। এই অপারেশনের নামে আমাদের যুবলীগসহ আওয়ামী লীগের বহু নেতাকর্মীকে যে নির্মম অত্যাচার করেছে, সে অত্যাচারে কত মানুষ নিহত হয়েছে?’

স্মরণ সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনাবিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ এবং উপ-প্রচার ও প্রকাশনাবিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলামের যৌথ সঞ্চালনায় সভায় আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেন, মোফাজ্জল হোসেন মায়া, আওয়ামী লীগ কার্যনির্বাহী সদস্য পারভীন জাহান কল্পনা, সৈয়দ নজরুল ইসলামের মেয়ে ডা. সৈয়দা জাকিয়া নূর, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফি এবং ঢাকা মহানগর উত্তর শাখা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান।

অনুষ্ঠানের শুরুতে শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

এ বিভাগের আরো খবর