রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে জনদুর্ভোগ তৈরি করলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যবস্থা নেবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। সচিবালয়ের গণমাধ্যম কেন্দ্রে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামের (বিএসআরএফ) সংলাপে তিনি এ কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন বলেন, ‘আমাদের প্রধানমন্ত্রী স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, যেকোনো দল তার কর্মকাণ্ড করবে। তাতে আমাদের আপত্তি নেই। কিন্তু তারা যদি জনদুর্ভোগ তৈরি করেন, রাস্তাঘাট আটকিয়ে দেয়…।
‘আজকে আমি দেখলাম একজন সংসদ সদস্য বলছেন তার তিন ঘণ্টা সময় লেগেছে কোনো এক জায়গায় যেতে। তিন ঘণ্টা লাগে কেন, হয় রাস্তার মধ্যে কোনো মিটিং হয় তখন, কিংবা খোঁড়াখুঁড়িসহ কিছু ডেভেলপমেন্টের কাজ হয়।’
মন্ত্রী বলেন, ‘যদি যদি কেউ রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা তৈরি করে কিংবা গাড়িঘোড়া ভাঙচুর করে কিংবা জনগণের দুর্ভোগ তৈরি করার জন্য তারা যদি কিছু করে, তাহলে তো আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বসে থাকবে না। তাদের অর্পিত দায়িত্ব পালন করবে, এটাই স্বাভাবিক। এটা পৃথিবীর সব দেশেই হয়ে থাকে, আমাদের বাংলাদেশেও তার ব্যতিক্রম নয়।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের প্রধানমন্ত্রী মনে করেন কেউ তাদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড যদি স্বাভাবিকভাবে পরিচালনা করে, তারা মিটিং করবে তাদের দাবি-দাওয়ার কথা বলবে, তাতে আমাদের সরকারের কোনো রকম বাধা দেওয়ার ইচ্ছা নেই এবং আমরা বাধা দিচ্ছিও না।’
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সব সময় মনে করে যে সংবিধান অনুযায়ী ৫ বছর পর পর নির্বাচনের মাধ্যমে পাবলিক ম্যান্ডেটে সরকার বদল হবে। আমাদের দুর্ভাগ্য আমরা অনেক কিছুই দেখেছি, ষড়যন্ত্র দেখেছি। এগুলোর মাধ্যমেও ক্ষমতা বদল হয়ে গিয়েছিল।
‘নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক দলগুলো একটু সক্রিয় হয়ে যায় কিংবা নানান ধরনের কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে, যাতে একটা বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টি হয় কিংবা উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। নির্বাচনের সময় এটা অস্বাভাবিক কিছু নয়, আমরা দেখেছি নির্বাচনের সময়ে যার যার দলের কথা, ব্যক্তিগত প্রচারণা নিয়ে অনেক সময় অনেক কিছু হয়ে থাকে।’
বিএনপির সমাবেশের দিকে ইঙ্গিত করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন, কোনো এক দলের নেতা বলছেন- আপনারা আসবেন, লাঠিটা নিয়ে আসবেন। লাঠিটা নিয়ে আসার সময় দেশের ফ্ল্যাগটা বেঁধে নেবেন, তাহলে কেউ কিছু বলতে পারবে না। ইনটেনশনটা কী সেখানে আপনাদের? দেখলাম পুলিশের ওপর লাঠিপেটা শুরু করেছে।
‘এই সমস্ত কিছু হলে তখন তো নিরাপত্তা বাহিনী তার অর্পিত দায়িত্ব পালন করবে। আমরা সব সময় বলে আসছি, আমরা বিশ্বাস করি জনগণের ম্যান্ডেটের মাধ্যমে আসতে হবে এবং কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা যদি কিছু ঘটায়, চেষ্টা করে কিংবা করে তাহলে নিরাপত্তা বাহিনী সেটার ব্যবস্থা নেবে।’
তিনি বলেন, ‘কোনো ভাঙচুর হলে মামলা হবেই। এটা একটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। কালকে একজন বিচারপতির গাড়ি ভাঙচুর হয়েছে। বিচারপতি স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় মামলা করেছেন। এই মামলা তো হবেই। এখানে রাজনীতির গন্ধ আনা উচিত নয়। বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে যদি স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় না যেয়ে তারা ভাঙচুর করেন, তারা যদি জনদুর্ভোগ তৈরি করেন তাহলে আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী তার অর্পিত দায়িত্ব পালন করবে।’