পিকনিক করে ফেরার পথে বাসে উত্ত্যক্তকে কেন্দ্র করে দ্বন্দ্বে রাব্বি ওরফে রাফা নিহত হন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিএমপি অতিরিক্ত কমিশনার(ক্রাইম এন্ড অপস) এ কে এম হাফিজ আক্তার।
এ ঘটনায় সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ডিএমপি অতিরিক্ত কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার বলেন, ‘মঙ্গলবার রাজধানীর হাজারীবাগে টিকটকারদের এক গ্রুপের পুল পার্টি ছিল ধামরাইয়ের একটি রিসোর্টে। সেখান থেকে ফেরার পথে প্রথমে বাসের ভেতর গাজা খাওয়াকে কেন্দ্র করে সিনিয়র-জুনিয়র গ্রুপের মধ্যে তর্ক হয়। এক পর্যায়ে জুনিয়ররা এক সিনিয়রের বান্ধবীকে ইভটিজিং করে। ওই বান্ধবী আসাদগেটে নামার পর দুই গ্রুপ সংঘর্ষে জড়ায়।
‘সিনিয়র গ্রুপের রাব্বি চাকু নিয়ে জুনিয়রদের দিকে তেড়ে আসে। জুনিয়ররা চাকুটি কেড়ে নিয়ে রাব্বিসহ আরেকজনকে ছুরিকাঘাত করে। রাব্বিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পর আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরদিন রাতে তিনি মারা যান।’
শাওন নামের আহত আরেকজনের অবস্থা স্থিতিশীল জানিয়ে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, জড়িতরা ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ততা স্বীকার করেছে। প্রধান অভিযুক্ত ফারুকের নামে হাজারীবাগ থানায় তিনটি মামলার তথ্য পাওয়া গেছে। অন্যরা বয়সে তরুণ। তারা কেউ কেউ ছাত্র, কেউ কেউ কারখানার কর্মচারী।
তিনি বলেন, বুধবার রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ঘটনার সঙ্গে জড়িত মূল অভিযুক্ত ফারুক, জিতু ও জসিমকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যে মোস্তফা, জোবায়ের যুবরাজ জয়, মো. রাব্বি ও মো. রোমানকে গ্রেপ্তার করা হয়।
রাব্বি হত্যায় মূল অভিযুক্ত ফারুকের কাছ থেকে হত্যায় ব্যবহৃত ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানান তিনি।