গাজীপুরের টঙ্গীতে মাদক উদ্ধার করতে গিয়ে বস্তিবাসীর সঙ্গে মহানগর ডিবি পুলিশের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। এতে ডিবির ওসিসহ ৭ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। বস্তিবাসীর পক্ষ নিয়ে র্যাবের দুই ফিল্ড সোর্সও ডিবি পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে হাজীর মাজার বস্তিতে এ ঘটনা ঘটে। পরে বুধবার সন্ধ্যায় টঙ্গী পশ্চিম থানায় মামলা হয়েছে এবং রাতে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৯ জনকে।
গ্রেপ্তার সবাই ওই বস্তির বাসিন্দা। তারা হলেন- জুয়েল, মনিরুল ইসলাম, মো. সোহেল, স্বাধীন, আব্দুল মান্নান, মঙ্গল, হাবিবুর রহমান, মনির হোসেন বাবু ও কেরামত আলী।
থানা সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে গাড়ি নিয়ে ডিবি পুলিশের একটি দল বস্তিতে প্রবেশ করে। এ সময় বস্তিতে থাকা ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় নেতা স্বপনের ইন্ধনে শতাধিক নারী-পুরুষ তাদের ভুয়া ডিবি পুলিশ আখ্যা দিয়ে ধাওয়া করে।
এক পর্যায়ে বস্তির লোকজন ডিবি পুলিশের ওই দলটিকে মাজার বস্তি কল্যাণ সমিতির অফিসে আটক রাখে।
রাত ১০টার দিকে আবু সাঈদ নামে র্যাবের কথিত এক সোর্স ঘটনাস্থলে এসে র্যাবকে ফোন দিলে র্যাবের ফিল্ড সোর্স মেহেদী হাসনাত ও আসাদুজ্জামান ঘটনাস্থলে আসেন। এ সময় তারাও ডিবি পুলিশের দলটিকে ভুয়া দাবি করলে আবারও শুরু হয় ধস্তাধস্তি।
খবর পেয়ে টঙ্গী পশ্চিম থানা পুলিশ ও ডিবির আরেকটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে অবরুদ্ধ ডিবি সদস্যদের উদ্ধার করে।
হামলায় ডিবির ওসি খন্দকার ফরিদ হোসেন, এসআই পরিমল, এসআই বিল্লাল, এসআই ইব্রাহিম, কনস্টেবল সোহাগ মিয়া, রমজান মিয়া ও আফরোজা আক্তার আহত হন।
এ বিষয়ে টঙ্গী পশ্চিম থানার ওসি শাহ আলম জানান, ঘটনার পরপরই পুলিশের উধ্বর্তন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ডিবি পুলিশের এসআই পরিমল চন্দ্র বাদি হয়ে ৩৩ জনের নাম উল্লেখ এবং আরও শতাধিক জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা করেছেন।
এদের মধ্যে অভিযোগপত্রে নাম থাকা ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।