বিভাগীয় সমাবেশের সময় ধর্মঘট ডাকায় বরিশালে বাস মালিক সমিতিকে রাজনৈতিক অপশক্তি আখ্যা দিয়েছে বিএনপি। এই বাধা সত্ত্বেও বিএনপির বিভাগীয় অন্য সমাবেশগুলোর মতো দক্ষিণের জেলার জমায়েতও বড় হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন দলটির নেতারা। বলেছেন, মানুষ খাল নদী থেকে সাঁতরে সমাবেশে যোগ দেবে।
সমাবেশের তিন দিন আগে বুধবার বরিশাল প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও বিএনপির বরিশাল বিভাগীয় সমাবেশের প্রধান সমন্বয়কারী সেলিমা রহমান এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক অপশক্তি বরিশাল জেলা বাস মালিক গ্রুপের নামে ৪ ও ৫ নভেম্বর পরিবহন ধর্মঘট আহ্বান করেছে। আমরা সেই বাস মালিক গ্রুপকে অনুরোধ করেছিলাম বাস চলাচল স্বাভাবিক রাখতে। তবে তারা রাজি হয়নি। এই ধরনের পদক্ষেপের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ তার অতিপরিচিত ফ্যাসিস্ট বাকশালী ভাবধারার ঘৃণ্য চরিত্রকেই সবার সামনে উন্মোচন করেছে।’
তিনি বলেন, ‘বরিশালের বিভিন্ন উপজেলায় বিভাগীয় সমাবেশ উপলক্ষে আয়োজিত প্রস্তুতি সভায় হামলা করা হচ্ছে। তবে কোনো বাধাই গণসমাবেশকে আটকে রাখতে পারবে না। বরিশাল জনসমুদ্রের নগরী হবে ৫ নভেম্বর। খাল-নদী থেকে সাধারণ মানুষ সাঁতরে গণসমাবেশে যোগ দেবে।’
বিএনপির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপন বলেন, ভোলার চরফ্যাশনে আমাদের নেতা-কর্মীদের ওপর বর্বর হামলা চালানো হয়েছে। এই ধরনের ঘটনা বরিশালের সব জায়গায় ঘটছে। আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা প্রশাসনের সমন্বয়ে বিএনপিকে দমানোর প্রয়াস চালাচ্ছে।’
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল বলেন, ‘চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, খুলনা ও রংপুরের গণসমাবেশগুলো বাধাগ্রস্ত করার জন্য সর্বাত্মক অপচেষ্টা চালিয়েছে আওয়ামী লীগ। বাস মালিক পক্ষকে ব্যাপকভাবে চাপ দিয়ে তাদেরও নাম ব্যবহার করছে সরকারি দল।
‘বিএনপি বাস মালিক পক্ষকে লিখিতভাবে আশ্বস্ত করেছে তাদের দাবিতে বিএনপি নীতিগতভাবে সমর্থন করে। তবে ৪ ও ৫ নভেম্বর ধর্মঘটের ডাক দেয়া থেকে বিরত থাকতে তাদের অনুরোধ জানানো হয়েছে। কিন্তু তারা কথা শোনেনি।’
অন্য বক্তারা বলেন, বরিশালে বিভাগীয় সমাবেশ খালেদা জিয়া বা তারেক রহমানকে প্রধানমন্ত্রী করার আন্দোলন নয়। এটা জনগণের স্বার্থের আন্দোলন।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান জয়নুল আবেদীন, বরিশাল বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস আক্তার জাহান শিরিন, সহসাংগঠনিক সম্পাদক মাহাবুবুল হক নান্নুও উপস্থিত ছিলেন।