গাজীপুর মহানগরীর বাসন থানা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন বুধবার নগরীর ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে দিন শেষে উৎসবমুখর সম্মেলন শেষ হয় ভাঙচুরের মধ্য দিয়ে।
সম্মেলনে প্রথম পর্বের আলোচনা সভা শেষে বেলা ৩টার দিকে কমিটি ঘোষণার পর কাঙ্খিত পদ না পেয়ে বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা কেন্দ্রীয় নেতাদের সামনেই ভাঙচুর চালান।
এ সময় আতঙ্কিত হয়ে বিভিন্ন এলাকা থেকে সম্মেলনে আসা কর্মীরা যে যেদিকে পারেন ছোটাছুটি শুরু করেন। পরে নেতাদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বাসন থানা আওয়ামী লীগের সম্মেলনের প্রথম পর্ব শেষে বেলা ৩টার দিকে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আজমত উল্লাহ খান কমিটির তালিকা ঘোষণা করেন।
এ সময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপি, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মেহের আফরোজ চুমকি এমপি, আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য মো. আনোয়ার হোসেন, মো. সাহাবুদ্দিন ফরাজী, মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আতাউল্যাহ মণ্ডলসহ আরও কয়েক নেতা।
সম্মেলনে সভাপতি পদে তিনজনের মধ্যে দুজন প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রফেসর আব্দুল বারী বাসন থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন।
এদিকে, সাধারণ সম্পাদক পদে ২০ জনের মধ্যে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেন ৪-৫ জন। পরে আবুল কাসেমকে সাধারণ সম্পাদক এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে সফিকুল ইসলাম সফি, আমির হোসেন এবং রকিব সরকারের নাম ঘোষণা করলে বঞ্চিত নেতা-কর্মীরা সম্মেলনস্থলে হইচই শুরু করেন।
একপর্যায়ে বিক্ষুব্ধরা সেখানে নির্বিচারে ভাঙচুর চালান। তারা মঞ্চের সামনে সহস্রাধিক চেয়ার, টেবিল, ফ্যান, পতাকা স্ট্যান্ডসহ সাউন্ড সিস্টেমও ভাঙচুর করেন। প্রায় ১৫ মিনিট ধরে চলে এই তাণ্ডব। পরে কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতাদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি ধীরে ধীরে শান্ত হয়ে আসে।